নিজস্ব প্রতিবেদন: সামনে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন। লোকসভা ভোটের পর রাজ্যে বেড়েছে বিজেপির দাপাদাপি। নবান্ন জয়ের স্বপ্ন দেখতে তারা। এহেন পরিস্থিতিতে রাজ্যের বিভিন্ন দফতরের অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ীকরণের পথে হাঁটল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজ্যের একাধিক দফতরের মধ্যে পঞ্চায়েতেই অস্থায়ী কর্মীর সংখ্যা সব চেয়ে বেশি। শুধুমাত্র পঞ্চায়েত দফতরেই রয়েছে ১৫ হাজারেরও বেশি অস্থায়ী কর্মী। তাঁদের স্থায়ী করার জন্য ইতিমধ্যেই নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার। ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, টানা ২ বছর যাঁরা অস্থায়ী পদে রয়েছেন, তাঁদের স্থায়ী করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। এর জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে বিশেষ প্রক্রিয়া।


কী সেই প্রক্রিয়া? অস্থায়ী কর্মীকে প্রথমে ১ বছরের জন্য প্রবেশনে রাখা হবে। যাঁরা ভালো কাজ করবেন, তাঁদের বসতে হবে পরীক্ষায়। পরীক্ষায় ভালো করলে চাকরি পাকা। পরীক্ষা খারাপ ফল হলেও আশঙ্কার কারণ নেই। আরও ১ বছর প্রবেশনে থাকতে পারবেন তাঁরা। এরপর পাবেন পরীক্ষায় বসার সুযোগ। এভাবেই ধাপে ধাপে সকলকে স্থায়ী করা হবে।


পঞ্চায়েত দফতরে তৃণমূলস্তরে কাজ করতে হয়। ১০০ দিনের কাজ থেকে শুরু করে রাস্তা তৈরি, গৃহনির্মাণ-সহ নানা ধরনের প্রকল্প রয়েছে দফতরের। সব প্রকল্পেই যুক্ত রয়েছেন অস্থায়ী কর্মীরা। রাজ্যে বাম সরকারের আমল থেকেই অস্থায়ী পদে কর্মী নিয়োগ করা হয়েছিল। পরবর্তীকালে তৃণমূল সরকার আসার পরও অস্থায়ী কর্মীদের নিয়োগ করা হয়। ১০ বছরের বেশি যাঁরা অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কাজ করছেন তাঁরা স্থায়ী চাকরির দাবি করেন। সেই দাবিপত্র মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিবেচনার জন্য পাঠায় পঞ্চায়েত দফতর। সবুজ সংকেত দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন,''এত জন কর্মীকে স্থায়ী করতে যে অর্থের প্রয়োজন, তা তাঁর দফতরের কাছে নেই। সে কারণে মুখ্যমন্ত্রীর অনুমতি চাওয়া হয়েছিল।''


রাজ্যে ৩২২৯টি গ্রামপঞ্চায়েতের অধীনে কাজ করেন ১৫ হাজার অস্থায়ী কর্মী। সহায়ক, নির্মাণ সহায়ক এবং এক্সিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট- এই ৩টি পদে কাজ করেন অস্থায়ী কর্মীরা। কয়েক মাসের মধ্যেই তাঁদের স্থায়ীকরণের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলে নবান্ন সূত্রের খবর।


আরও পড়ুন- আপনি আসল বামপন্থী হলে ৮ জানুয়ারি ধর্মঘট সফল করুন, মমতাকে চ্যালেঞ্জ সূর্যের