নিজস্ব প্রতিবেদন: বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তা কাজে এল না। মন্ত্রিত্ব থেকে শোভন চট্টোপাধ্যায় ইস্তফা দেওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, ''এর আগে চার পাঁচ বার রিজাইন দিয়েছে। কেউ যদি রিজাইন করার ইচ্ছে প্রকাশ করে আমাদের কি করার আছে। বুঝিয়েছিলাম বোঝেনি, ভেবেছিলাম বুঝবে। আজও ইস্তফা দিয়েছে আমরা গ্রহণ করেছি''।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শোভন ইস্তফা দেওয়ায় তাঁর মন্ত্রক আপাতত পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম সামলাবেন বলেও জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ''এখন থেকে ওঁর দায়িত্বে থাকা দফতর দুটি ফিরহাদ হাকিম দেখবে। এর পাশাপাশি তিনি যে মেয়রের পদ থেকেও শোভনকে ইস্তফা দিতে বলেছেন তাও স্পষ্ট করেন মমতা। বলেন, আমি ওকে মেয়রের পদ থেকেও ইস্তফা দিতে বলেছি। 


তবে মেয়র পদটা যেহেতু নির্বাচিত পদ, তাই ওটা প্রক্রিয়ামতো করতে হবে। এখন থেকে খলিল আহমেদ বকেয়া কাজগুলি দেখে নেবে। আমরা তো আছিই। আর বিধানসভায় গিয়ে আমরা বাকিটা দেখে নেব আলোচনা করে''।


মুখ্যমন্ত্রীর প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারির কাছে এদিন বিকালে ইস্তফাপত্র জমা দেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। এদিন সকাল ১০টা ৪০-এ বিধানসভায় নিজের ঘরে ঢোকেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী নিজের ঘরে ঢোকার ৫ মিনিটের মধ্যেই তাঁর ঘরে ঢোকেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। মিনিট দশেক দুজনের মধ্যে একান্তে কথা হয়। তখনই শোভন চট্টোপাধ্যায়ের কাজকর্ম নিয়ে ব্য়াপক ক্ষোভপ্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেত্রীর ধমকের মুখে পড়েন আবাসন ও দমকলমন্ত্রী। ব্যক্তিগত জীবনে টানাপোড়েনের জেরে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব কোনওটাই শোভন চট্টোপাধ্যায় ঠিকমতো পালন করতে পারছেন না বলে, তাঁকে সাফ জানান মুখ্যমন্ত্রী। এরপর নবান্নে দমকল দফতরের অনুষ্ঠানে ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একমঞ্চে দেখা যায় শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। সেখানেও দেখা যায়, শোভন চট্টোপাধ্যায়কে রাগত স্বরে কিছু বলছেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরই দুপুর সাড়ে ৩টের সময় নবান্নে নিজের ঘরে যান শোভন চট্টোপাধ্যায়। নবান্ন সূত্রে খবর, ঘর থেকে বেরিয়ে সোজা মুখ্যমন্ত্রীর প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি গৌতম স্যানালের কাছে যান দমকলমন্ত্রী। প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারির হাতেই ইস্তফাপত্র তুলে দেন আবাসন ও দমকলমন্ত্রী। 


আরও পড়ুন- তড়িত্ গতিতে ছুটে চলছে ভারতের ট্রেন -১৮, দেখুন ভিডিও