নিজস্ব প্রতিবেদন: স্বাধীনতা পেয়েছি, তবে স্বাধীন কি আদৌ হয়েছি? যখন আসমুদ্র হিমাচল ৭২তম স্বাধীনতা দিবস পালনের চূড়ান্ত মুহূর্তে দাঁড়িয়ে, ঠিক তখনই এমন প্রশ্ন তুললেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্তমানে মোদী বিরোধী রাজনীতির অন্যতম মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বুধবার, দিল্লির লাল কেল্লায় আজাদির ৭২তম উদযাপনে তেরঙ্গা উত্তোলন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর তার ঠিক ১২ ঘণ্টা আগে দেশকে পুনরায় স্বাধীন করার অঙ্গীকার করে ফেললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, ভারত আবার কীভাবে স্বাধীন হবে? আপাত দৃষ্টিতে কথাটা অদ্ভুত মনে হলেও, এর মধ্যেই রয়েছে গভীর রাজনৈতিক তাত্পর্য, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।


বার্ষিক আয়ের সীমা ঘুচল, বাংলার সব মেয়েই কন্যাশ্রী


আজ (মঙ্গলবার) নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করলেন, “২০১৯-এ ভারতবর্ষকে স্বাধীন করব।” যার রাজনৈতিক তর্জমা করলে দাঁড়ায়, আগামী লোকসভা নির্বাচনে (২০১৯) বিজেপি-কে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশকে আজাদি এনে দেবেন তিনি। অসমের নাগরিক পঞ্জিকরণের প্রসঙ্গ তুলে এ দিন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, এ কেমন স্বাধীনতা, যেখানে স্বাধীনতার ৭২ বছর পরও নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে হচ্ছে! কেন্দ্রীয় এজেন্সির (মূলত সিবিআই) ভয়ে যে তিনি অন্তত গুটিয়ে থাকবেন না, বরং আরও বেশি করে কথা বলবেন, আন্দোলন সংগঠিত করবেন, তাও এদিন ফের স্পষ্ট করেছেন মমতা।


এনআরসি ইস্যুতে অমিত শাহকে সরাসরি কড়া আক্রমণ মমতার


তাঁর কথায়, বাকিরা বিজেপি ‘জুজু’-তে ভয় পেলেও তিনি ভয় পান না। ‘অকুতভয়’ মমতা বলেন, “ভারতবর্ষে একমাত্র আমিই বিজেপির বিরুদ্ধে কথা বলতে পারি। বাকিরা ভয়ে পারে না। আমি আত্মসমর্পণ করব না”।


মমতার এই ‘আগুনে’ সাংবাদিক বৈঠকের পর, বিশ্লেষকদের অনেকেই আবার মমতার সঙ্গে মিলিয়ে দিচ্ছেন কমিউনিস্টদের। স্বাধীনতার পরপরই স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী কমিউনিস্টরা স্লোগান তুলেছিলেন, ‘ইয়ে আজাদি ঝুটা হ্যায়’! আজ স্বাধীনতার প্রায় হীরক জয়ন্তী বর্ষের দোরগোড়ায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কণ্ঠেও ফের ভারত স্বাধীন করার ডাক শোনা গেল। তবে দুক্ষেত্রে রাজনৈতিক বাস্তবতা নিশ্চিতভাবেই ভিন্ন।