ওয়েব ডেস্ক: একটা সময় ছিল, যখন বাংলায় খুবই জনপ্রিয় ছিল পর্তুগীজ শাল।  নিখুঁত নজরকাড়া ডিজাইনের জন্য শুধু এদেশই নয়, বিশ্বের মানুষের কাছেও পরিচিতি পায় এই শাল। কিন্তু কালের নিয়মেই এই শাল প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছিল। সেই ঐতিহ্যকে ফের ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ব বাংলা।
 
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সাউথ গড়িয়ার ওয়ার্কশপে একমনে কাজ করছেন মহিলারা। শালের গায়ে ফুটে উঠছে একের পর এক নকশা। বাংলার সেলাই আর ব্রিটিশদের ছবি, এই দুয়ের মেলবন্ধনে তৈরি হচ্ছে পর্তুগীজ শাল।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একটা সময়  অভিজাত, বিত্তবানদের স্ট্যাটাস সিম্বল ছিল এই শাল। অসাধারণ নকশায় মন কাড়ত সারা পৃথীবির সাহেবসুবোদের। সময় গড়ায়। পর্তুগীজরা এদেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর এই সালকে বিশ্বের দরবারে নিয়ে আসে ব্রিটিশরা। কিন্তু কালের নিয়মেই একটা সময় হারিয়ে যায় পর্তুগীজ শাল। সেই হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয় বিশ্ব বাংলা। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সাউথ গড়িয়ার ওয়ার্কশপে পর্তুগীজ শাল তৈরিতে ব্যস্ত শিল্পীরা।


তবে এই শাল তৈরি করতে সময় লাগে প্রায় দু থেকে আড়াই মাস। নজরকাড়া ডিজাইন, এবং মানের কারণেই দিনদিন চাহিদা বাড়ছে এই শালের। ওয়ার্কশপে যত শাল তৈরি হচ্ছে পুরোটাই বিক্রির ব্যবস্থা করছে বিশ্ব বাংলা। সব স্টলেই এই শাল কিনতে ভিড় করছেন মানুষ।


বিশ্ব বাংলার সুবাদে আয় বেড়েছে শিল্পীদের। নিজেদের তৈরি জিনিস বিক্রির কথা আর ভাবতে হয়না তাদের। মজুরি বাড়ার পাশাপাশি নিয়মিত আয়ে খুশি তারা।