নিজস্ব প্রতিবেদন: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে গণআন্দোলনে পথে নেমেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এইট বি বাসস্ট্যান্ড থেকে মিছিল শুরু হয়ে ঢাকুরিয়া সেতু হয়ে গোলপার্ক, গড়িয়াহাট রোড, রাসবিহারী অ্যাভিনিউ ধরে ভাবনীপুরের যদুবাবুর বাজারে শেষ হল প্রতিবাদ মিছিল। গতকালের মতো এদিনও নেতৃত্বে ছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিবারের মতো এবারও চোখে পড়ল সেই চেনা ছবি। রাস্তার দু-পাশে হাজির হলেন অগুন্তি সাধারণ মানুষ। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে এগিয়ে যায় মিছিল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


পাশাপাশি মিছিলে পা মেলালেন বিভিন্ন মহলের ব্যক্তিত্বরা। গৌতম ঘোষ, মিমি, সোহম, নুসরত থেকে পৌলমী ঘটক, দীপেন্দু বিশ্বাসসহ ক্রিড়া, সাহিত্য বিভিন্ন মহলের বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও হাজির ছিলেন মিছিলে। প্রথমে মঙ্গলবার ১২.৪৫ মিনিটে যাদবপুরে জমায়েত করেন নেত্রী। এরপর মিছিলের স্লোগান নির্ধারণ করে, শান্তির বার্তা নিয়ে শুরু হয় মিছিল। পাশাপাশি পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেন নেত্রী। মিছিল শেষে দক্ষিণ কলকাতার যদুবাবুর বাজারে এসে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন নেত্রী। মিছিল শেষেও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতা করে একই বার্তা দেন তিনি। 


আরও পড়ুন: "দেশ বিভাজন চলবে না" শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের বার্তা দিয়ে যাদবপুর থেকে প্রতিবাদ মিছিল শুরু করলেন মমতা


মিছিল শেষে এদিন তিনি বলে


*রাস্তায় নেমে আন্দোলনের মতো জড়ালো প্রতিবাদ আর নেই। গতকালও আন্দোলন হয়েছে। সবাই সবাইকে ভালবাসি, এই ভালবাসাই আমাদের ধর্ম। এটাই আমাদের সংস্কৃতি। 
*নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় এসে গায়ের জোরে যা ইচ্ছে তাই করবে মেনে নেওয়া যায় না। 
*আসাম জ্বলছে, ত্রিপুরা জ্বলছে। নির্বাচনের সময়ে দেওয়া কোনও কথাই রাখেনি। 
*যাঁদের পরিবার দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে লড়াই করেছে তাদেরকেই নাগরিকত্ব দেওয়া হচ্ছে না। ওদের চালাকিটা বুঝুন। 
*মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে। ওরা বাজারে ধর্ম বিক্রি করছে। আমরা পরিস্কার বলছি, আমরা সবাই নাগরিক, আমাদের মধ্যে ভেদাভেদ করতে দেওয়া যাবে না। 
*স্বাধীনতার ৭৩ বছর পর আমাদের নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে হবে এটা কেমন কথা। কে নাগরিক, কে নাগরিক নয় বিজেপি ঠিক করে দেবে না। 
*মনে রাখবেন আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করব। রাস্তা অবরোধ করব না, রেল অবরোধ করবে না, আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চাই। 
*আমাদের একমাত্র দাবি NRC, NPR এবং CAA- করতে দেওয়া যাবে না।