Regent Park Death: দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিসে খবর, রিজেন্ট পার্কের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার স্বামী-স্ত্রী-মেয়ের ঝুলন্ত দেহ
স্থানীয়রাই পুলিসকে খবর দেয়। কারণ প্রতিবেশীরা কয়েক দিন পচা গন্ধ পাচ্ছিলেন। পুলিস এসে দরজা ভেঙে মৃতদেহ উদ্ধার করে। আদতে গার্ডেনরিচের বাসিন্দা বিজয়বাবু গত প্রায় ৬ মাস ওই ফ্ল্য়াটে থাকছিলেন
প্রবীর চক্রবর্তী ও রণয় তেওয়ারি: রিজেন্ট পার্ক এলাকায় মর্মান্তিক ঘটনা। বাড়ি থেকে উদ্ধার হল স্বামী, স্ত্রী ও মেয়ের ঝুলন্ত মৃতদেহ। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে বেশ কিছুদিন ধরে তাঁর ব্যবসায় লোকসান চলছিল ওই ফ্ল্য়াটের মালিকের। তার জেরে আর্থিক অনটন নাকি অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-বালাকোটে জয়ের নিশান উড়িয়েছিল ভারত; 'অপারেশন বান্দরে'র চারবছর পূর্তি...
রিজেন্ট পার্কের ১৯৬/১ মহাবিষ্ণু অ্যাপার্টমন্টের ফাস্ট ফ্লোরে থাকতেন ৩ জন। এরা হলে বাড়ির কর্তা বিজয় চট্টোপাধ্যায়, তাঁর স্ত্রী রানু চট্টোপাধ্যায় ও তাদের মেয়ে ঐন্দ্রিলা চট্টোপাধ্যায়। বিজয়বাবু ব্যবসা করতেন। মেয়ে ঐন্দ্রিলা আইনের ছাত্রী। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই তিনজন গত ৬ মাস ওই ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন। গত ৩-৪ দিন বাড়ি থেকে তিনজনের কাউকে বের হতে দেখা যায়নি। পুলিসের বক্তব্য ২-৩ দিন আগেই ওই অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারণ দেহে পচন ধরেছে।
স্থানীয়রাই পুলিসকে খবর দেয়। কারণ প্রতিবেশীরা কয়েক দিন পচা গন্ধ পাচ্ছিলেন। পুলিস এসে দরজা ভেঙে মৃতদেহ উদ্ধার করে। আদতে গার্ডেনরিচের বাসিন্দা বিজয়বাবু গত প্রায় ৬ মাস ওই ফ্ল্য়াটে থাকছিলেন। মৃতদেহের পাশে কোনও সুইসাইড নোট না পাওয়া গেলেও প্রাথমিক তদন্তের পর মনে করছে আর্থিক অনটনের জেরেই এমন ঘটনা ঘটতে পারে।
বিজয়বাবু এক প্রতিবেশী বলেন, ওরা ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে থাকতো স্বামী-স্ত্রী। কখনও কথা হয়নি। তবে বাড়িতে কোনও ঝগড়াঝাঁটি হয়েছে বলে শুনিনি। অন্যান্য পরিবারের মতোই থাকতো। কখনও কোনও আত্মীয় ওদের বাড়িতে আসতে দেখিনি। কারও সঙ্গে মিশতেনও না।