ওয়েব ডেস্ক : ২৪ ঘণ্টার খবরেই শিললমোহর। মিঠুন চক্রবর্তীর জায়গায় রাজ্যসভার টিকিট পেলেন প্রাক্তন বিদ্যুত্‍মন্ত্রী মণীশ গুপ্ত। দিল্লির রাজনীতিতে মণীশ গুপ্তর প্রশাসনিক অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চান মমতা। পুনর্বাসন পেলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যও। দিব্যেন্দু অধিকারীর ছেড়ে যাওয়া দক্ষিণ কাঁথি থেকে প্রার্থী চন্দ্রিমা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মণীশ গুপ্ত। জায়েন্ট কিলার। ২০১১-য় যাদবপুরে ৩০ হাজারের বেশি ভোটে হারান বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। তৃণমূল সরকারে বিদ্যুত্‍ দফতরের দায়িত্ব পান। মণীশ শিবিরের দাবি, তাঁর আমলেই রাজ্য লোডশেডিং মুক্ত হয়। যদিও ভোটাররা মানেননি। গত বিধানসভা নির্বাচনে যাদবপুরে তাঁকে হারিয়ে দেন সুজন চক্রবর্তী।


এবার মিঠুন চক্রবর্তী ইস্তফা দেওয়ায় রাজ্যসভায় তাঁর সাংসদ পদটি খালি হয়েছে। সেখানেই মণীশ গুপ্তকে রাজ্যসভায় পাঠালেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী। কিন্তু প্রশ্ন কেন মণীশ গুপ্তকে রাজ্যসভায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত?


আরও পড়ুন- চিটফান্ড কাণ্ডে দ্রুত তদন্ত চেয়ে CBI-এর দ্বারস্থ BJP


তার পিছনেও সুনির্দিষ্ট অঙ্ক রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রীর। নোট বাতিলের বিরোধিতাকে হাতিয়ার করে দিল্লির রাজনীতিতে উত্থান হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। সংসদে ও সংসদের বাইরে বাংলার শাসক দল আলাদা গুরুত্ব পাচ্ছে। দিল্লির আমলাতন্ত্র নির্ভরশীল রাজনীতিতে মণীশ গুপ্তের প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে বলে মনে করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


এদিকে, পুনর্বাসন পেলেন আরও একজন প্রাক্তন মন্ত্রী। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। দমদম উত্তরে তন্ময় ভট্টাচার্যের কাছে হেরে মন্ত্রিত্ব খুইয়েছেন তিনি। এবার তমলুকে শুভেন্দু অধিকারীর শূন্য আসনে জিতে সাংসদ হয়েছেন তাঁর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী। আর সেই দক্ষিণ কাঁথিতে দিব্যেন্দুর ছেড়ে দেওয়া আসনে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে প্রার্থী করলেন মমতা।


২০১৬-র বিধানসভা ভোটে একতরফা জয় পায় তৃণমূল কংগ্রেস। তা সত্ত্বেও দমদম উত্তর ও যাদবপুর কেন্দ্রে হার মেনে নিতে পারেননি তৃণমূল নেত্রী।