দেশলাইয়ের খোলের মতো চিড়ে চ্যাপটা হয়ে গেল বহু গাড়ি
ওপরে তৈরি হচ্ছে উড়ালপুল। কিন্তু নির্মীয়মাণ উড়ালপুলের নীচ দিয়ে অবাধে ছিল গাড়ি চলাচল। গাড়ি পার্ক করাও থাকত বিবেকানন্দ রোড ফ্লাইওভারের নীচে। বৃহস্পতিবার দুপুরে হুড়মুড়িয়ে সেই গাড়ির ওপর ভেঙে পড়ল উড়ালপুল। দেশলাইয়ের খোলের মতো চিড়ে চ্যাপটা হয়ে গেল বহু গাড়ি।
ওয়েব ডেস্ক: ওপরে তৈরি হচ্ছে উড়ালপুল। কিন্তু নির্মীয়মাণ উড়ালপুলের নীচ দিয়ে অবাধে ছিল গাড়ি চলাচল। গাড়ি পার্ক করাও থাকত বিবেকানন্দ রোড ফ্লাইওভারের নীচে। বৃহস্পতিবার দুপুরে হুড়মুড়িয়ে সেই গাড়ির ওপর ভেঙে পড়ল উড়ালপুল। দেশলাইয়ের খোলের মতো চিড়ে চ্যাপটা হয়ে গেল বহু গাড়ি।
একদিকে বড়বাজার, অন্যদিকে চিত্পুর। ব্যস্ত এলাকায় প্রতিদিনই এই বিবেকানন্দ রোড ধরে প্রচুর গাড়ি চলে। বৃহস্পতিবারও সে রকমটাই ছিল। নীচ দিয়ে তখন ছুটে যাচ্ছে একের পর এক গাড়ি। বেশিরভাগ গাড়িই যাত্রী ভর্তি। কেউ যাচ্ছিলেন ট্যাক্সি ধরে, কেউ বা ছিলেন নিজের গাড়িতে। ব্রিজের নীচেও প্রতিদিনের মতো অনেকেই রেখেছিলেন গাড়ি। আচমকাই সব কিছু বদলে গেল। উড়ালপুলের ভাঙা অংশের নীচে একের পর এক গাড়ি। দেশলাইয়ের খোলের মত চিড়ে চ্যাপটা অবস্থা। বাসিন্দারা ঝাঁপিয়ে পড়েন উদ্ধারকাজে। আটকে থাকা মানুষগুলিকে তখন বাঁচানোর নিরলস চেষ্টা।
গনগনে চৈত্রের রোদ। উড়ালপুলের নীচেটাই ঠাণ্ডা। তাই হয়ত ট্যাক্সি দাঁড় করিয়ে একটু জিরিয়ে নিচ্ছিলেন এই চালক। দুর্ঘটনার পর তিনি আটকে দুটি ট্যাক্সির মাঝে। একটু জলের জন্য আর্তি। ঘটনার পর গ্যাস কাটার দিয়ে কেটে কেটে গাড়িগুলি থেকে যাত্রীদের বের করার চেষ্টা চলে। একের পর এক গাড়িকে তোলা হয় ক্রেন দিয়ে। হায় রে অদৃষ্ট। যাঁরা যাচ্ছিলেন গন্তব্যে বা গুরুত্বপূর্ণ কাজে, তাঁদের অনেকেই জানতে না এভাবে স্তব্ধ হবে তাঁদের গতি।