নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা-আতঙ্কের গৃহবন্দি গোটা রাজ্য। তবে তিনি গৃহবন্দি কয়েক বছর ধরেই। একেবারেই তা স্বেচ্ছায়। রাজনীতির মূলস্রোত থেকে অনেকদিন আগেই সরে গিয়েছেন তিনি। সেটাও স্বেচ্ছাতেই। কিন্তু তাঁর মতো এই লড়াকু ব্যক্তিত্বের প্রতি মানুষের অনুসন্ধিত্সা কমে যায়নি। বরং রাজ্যের এই কঠিন পরিস্থিতিতে কী করছেন বুদ্ধবাবু, কেমন আছেন তিনি? কীভাবে তাঁর দিন কাটচ্ছে, তা জানতে আগ্রহী অনেকেই। সে তিনি নাইবা কমিউনিস্ট হলেন!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



বুদ্ধবাবুর ফুসফুসের সমস্যা বহুদিনের। সিওপিডি-র সমস্যার জন্য সেই ২০১০ সাল থেকে বিমানে উঠতে পারেন না। গত বছর মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। হাসপাতালে ভর্তি হলেও একপ্রকার জেদ করেই বাড়ি ফিরে এসেছিলেন তিনি। অদম্য মানসিক জোর তাঁর। বারবার তার প্রমাণ পেয়েছে গোটা রাজ্য। সেদিনও পেয়েছিল। কিন্তু তারপর থেকে তিনি ফের আড়ালেই।


আন্দামানবাসীর জন্য খাবার-ওষুধ নিশ্চিত করতে অনলাইন শুনানিতে কেন্দ্রকে নির্দেশ হাইকোর্টের
ঘনিষ্ঠ মহল অবশ্য জানিয়েছিল, বুদ্ধবাবুর সবথেকে ভালোলাগার জায়গা পড়াশোনা। আর এখন সারাটা দিন তাঁর পড়াশোনা করেই কাটে। 
এই সময়েও তাই-ই করছেন তিনি। আজ রাজ্যবাসী গৃহবন্দি। কিন্তু এই শব্দটা তাঁর সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে অনেক আগেই। সম্প্রতি সিপিএমের পলিটব্যুরোর সদস্য মহম্মদ সেলিম একটি টুইট করেছেন। আর সেখানেও উঠে এসেছে বুদ্ধবাবুর বই প্রেমের কথাই।
সেলিম জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই তিনটি বই শেষ করে ফেলেছেন তিনি। আরও পড়বেন। শারীরিক অসুস্থতা তাঁকে কোনওভাবেই বইপ্রেম থেকে বিরত রাখতে পারেনি। 
তবে গোটা রাজ্যের পরিস্থিতির ওপরেও নজর রেখেছেন তিনি। সঙ্গে খবর রাখছেন, নতুন লেখক, কারা কী লিখেছেন, সে ব্যাপারেও।