ওয়েব ডেস্ক: চোখের সামনে অহরহ জন্ম-মৃত্যু কি আবেগহীন করে দেয় চিকিত্সকদের? নিজের সন্তানের মৃত্যুতেও কি অসাড় হয়ে থাকতে পারে কারও মন? ফুটফুটে মেয়ের মৃত্যুশোক থেকে কি বড় হয়ে উঠতে পারে দাম্পত্যকলহ? অরুন্ধতী চলে গেলেও পড়ে রইল অনিবার্য প্রশ্নগুলো।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

যে বয়সে বাবা-মায়ের হাঁটি হাঁটি পা পা করার কথা, তখন ছোট্ট দেহটা দিনভর ঘুরে বেড়াল এ-মর্গ থেকে সে-মর্গে। বাবা-মাও যেমন তেমন নন। দু'জনেই চিকিত্সক। জীবনে হয়তো দ্বিতীয় হননি কোনও দিন। তাই দাম্পত্যকলহেও হার স্বীকার করতে নারাজ তাঁরা। সেই বিবাদেই মৃত্যুর পরও দু'দিন ধরে দেহ নিয়ে চলল দু'পক্ষের টানাটানি।


আরও পড়ুন - অর্থনীতিতে নোবেল পেতে চলেছেন রঘুরাম রাজন?


বুধবার রাতে কলকাতার হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছিল বছর দেড়েকের অরুন্ধতীর। বাবা-মায়ের আড়ি। তাই আদালতের নির্দেশে মায়ের কাছে থাকত সে। মাস কয়েক আগে গলায় খাবার আটকে শুরু যাবতীয় জটিলতার। সেই থেকে ভেন্টিলেটরে। চিকিত্সার খরচ কমাতে বাড়িতেই ভেন্টিলেটরের ব্যবস্থা করেন চিকিত্সক মা দেবযানী গোস্বামী। ওদিকে আদালতে মায়ের বিরুদ্ধে মেয়েকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন বাবা রামচন্দ্র ভদ্র।


দীর্ঘ অসুস্থতার পর গত বুধবার বরাবরের মতো ঘুমের দেশে পাড়ি দেয় অরুন্ধতী। মেয়ের মৃত্যু সংবাদ টেক্সট ম্যাসেজ করে বাবা কে জানান মা দেবযানী। দেহ নিয়ে যান বাপের বাড়ি মেমারিতে। বৃহস্পতিবার পুলিশের সাহায্যে সেখান থেকে দেহ ফেরত আনেন বাবা। দাবি তোলেন মেয়ের দেহের প্যাথোলজিক্যাল পোস্ট মর্টেম চাই। দেহ যায় কাঁটাপুকুর মর্গে। সেখান থেকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে হয় ময়না তদন্ত।



গোটা দিন মেয়ের মৃত্যুর পিছনে মায়ের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে গিয়েছেন রামচন্দ্রবাবু। দাবি তুলেছেন, মেয়ের মৃত্যুর সিআইডি তদন্ত চাই। দিনের শেষে যখন দেহ মর্গ বেরোল, দু'জনেই ভেঙে পড়লেন কান্নায়। নষ্ট নীড়ে বন্দি অরুন্ধতীর আর্তনাদ যেন মিলিয়ে গেল আকাশে-বাতাসে।