কলকাতা : দক্ষিণেশ্বর থেকে বারাসত। গড়িয়া থেকে এয়ারপোর্ট। দুই মেট্রো প্রকল্পে এয়ারপোর্টেই হবে জাংশন স্টেশন। এ কারণে ভেঙে ফেলতে হবে চক্র রেলের গোটা বিমানবন্দর স্টেশন এবং লাইন। জলাঞ্জলি যেতে বসেছে রেলের কয়েকশো কোটি টাকা। রাজনৈতিক নেতাদের অদূরদর্শিতা এবং রেলের পরিকল্পনা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

চক্র রেলের এয়ারপোর্ট স্টেশন। আড়াই কিলোমিটার বিস্তৃত রেললাইন। নীতীশ কুমার যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন, তখন অনেক ঢাকঢোল পিটিয়েই তৈরি হয়েছিল এই স্টেশন এবং পাতা হয়েছিল লাইন।


এখানকার প্রায় আড়াই কিলোমিটার বিস্তৃত রেল লাইন এবং স্টেশনটি তৈরি করতে লেগেছিল একশো পঁয়ত্রিশটি গার্ডার। গার্ডারপিছু খরচ হয়েছিল প্রায় আট লক্ষ টাকা। এই মুহূর্তে যা তৈরি করতে খরচ হবে চোদ্দ থেকে পনেরো লক্ষ টাকা। 


রেলের বিপুল এই খরচ নিমেষে জলাঞ্জলি যেতে বসেছে। ভেঙে ফেলতে হবে গোটা স্টেশনটিই। কারণ, দুটি মেট্রো প্রকল্প। গড়িয়া থেকে এয়ারপোর্ট এবং দক্ষিণেশ্বর থেকে বারাসত।


এদিকে যে স্টেশন এবং রেললাইন আর কয়েকদিনের মধ্যেই ভাঙা পড়বে, রেলমন্ত্রী আসায় সেই স্টেশনেই পড়েছে নতুন রঙের পোঁচ। যদিও আর্থিক সঙ্কটে ধুঁকছে রেল। রেল প্রকল্পগুলি শেষ করতে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সাহায্য চাইতে হচ্ছে। ঘুরপথে ভাড়া বাড়ানোর পথেও হাঁটতে হচ্ছে রেলকে। এই পরিস্থিতিতে রেলের পরিকল্পনা এবং দফতরগুলির মধ্যে সুষ্ঠু সমন্বয়ের অভাবই দেখছে তথ্যাভিজ্ঞ মহল। দুটি মেট্রো প্রকল্পে কেন চক্র রেলের লাইন এবং স্টেশনটি ব্যবহার করা গেল না, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।