জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক অভিমুখ ও অভিসন্ধির সঙ্গে আজকের ভারতের ঠিক কেমন সম্পর্ক, কী কী রসায়নে তার অভ্য়ন্তরীণ নীতি নির্ধারণ ক্রিয়া-প্রক্রিয়া চলবে-- এই পুরো বিষয়টি নিয়েই আজ, শুক্রবার কলকাতায় এক গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখলেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। কলকাতার এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে 'শ্যামাপ্রসাদ স্মারক বক্তৃতা' দিতে এসে এস জয়শঙ্কর তাঁর বক্তব্যের শিরোনাম ঠিক করলেন 'বিশ্ব এবং নতুন ভারত'। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Sujay Krishna Bhadra: শর্তসাপেক্ষে প্যারোলের মেয়াদ বাড়ল কালীঘাটের কাকুর


এই বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিদেশমন্ত্রী নানা বিষয় ছুঁয়ে যান। প্রথমেই তিনি পরিষ্কার করে দেন, কেন ভারত তার জাতীয় নিরাপত্তার উপর এত জোর দিয়েছে। তিনি ব্যাখ্যা করেন,  ভারত-পাকিস্তানের জম্মু-কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে নাক গলাচ্ছে পশ্চিমি শক্তিগুলি। এদিকে চিনও ভারতের সার্বভৌমত্বে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। প্রতিটি ক্ষেত্রই ভারত দক্ষতার সঙ্গে সামলাচ্ছে। 


জম্মু কাশ্মীরে নিরাপত্তা বহুগুণ বাড়ানো হয়েছে। জয়শঙ্কর সমবেত শ্রোতাদের বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক কেমন হবে এ নিয়ে খুব পরিচ্ছন্ন ধারণা পোষণ করতেন সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল এবং শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। জয়শঙ্কর মনে করিয়ে দেন, শ্যামাপ্রসাদ স্বয়ং বলেছিলেন,পাকিস্তান যখন আগ্রাসন দেখায় তখন এমন ভাব দেখানো হয় যেন ভারতই অপরাধী! এর সঙ্গে বিদেশমন্ত্রী যোগ করেন, 'ক্রস বর্ডার টেকনিক' নিয়ে আমাদের নীতি মোটেই তেমন জোরদার ছিল না। আমরা মোটেই চোখে চোখ রেখে লড়তাম না, বরং পরস্পরকে স্রেফ ঘটনার শিকার বলে মনে করতাম। ভারত কিন্তু ২০২৩ সাল থেকে এই মনোভঙ্গিতে পরিবর্তন আনতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সীমান্ত-সন্ত্রাস নিয়ে এখন আমাদের পরিষ্কার ধারণা তৈরি হয়েছে। উরি বা বালাকোট দেখিয়ে দিয়েছে যে, আমাদের চিন্তা-ভাবনায় বদল এসেছে। 


সারা বিশ্বে নানা ঝড় বয়ে গেলেও রাশিয়ার সঙ্গেও ভারতের সম্পর্ক যথেষ্ট স্থিতিশীল থেকেছে।  রাশিয়া আর ভারতের সম্পর্ক নিয়ে দেশের সাধারণ মানুষেরও নানা রকম অনুভূতি কাজ করে। জিও-পলিটিক্যাল বিষয়ে ভারত, রাশিয়া ও চিনের পারস্পরিক সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোনও বড় শক্তি মাথা তুললেই সে আগে স্থায়িত্ব খোঁজে। কিন্তু তা সত্ত্বেও বড় শক্তিগুলি পরস্পরের সঙ্গে একটা মর্যাদার প্রশ্নে সম্পর্কিত থাকবে, এটাই দস্তুর। কেউ কারও চেয়ে এগিয়ে-পিছিয়ে নয়। এটা ভারত এখন উদীয়মান শক্তিগুলিতে বোঝাতে পেরেছে।


জয়শঙ্কর জানান, তিনি রাজীব গান্ধীর সঙ্গে মার্কিন সফরে গিয়েছিলেন। মনমোহন সিংহের সঙ্গেও। কিন্তু মোদীজির সফর একেবারেই ভিন্নমাত্রার। মার্কিন কংগ্রেসে দুবার বক্তৃতার পালকটি কিন্তু মোদীজির মুকুটেই! তীব্র মেরুকরণের রাজনীতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, কিন্তু তা সত্ত্বেও রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট-- উভয়েই আমাদের স্বাগত জানিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের সম্পর্ক এখন অনেক পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও মর্যাদার উপর দাঁড়িয়ে। 


আরও পড়ুন:  Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে আজ ইডির মুখোমুখি হতে পারেন সায়নী, তৈরি প্রশ্নপত্র


প্রসঙ্গত, বিদেশনীতির নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে এস জয়শঙ্কর তিস্তার জলবণ্টন নিয়ে নাম না করে রাজ্যের ঘাড়েই দায় চাপালেন।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)