নিজস্ব প্রতিবেদন:  'দলবদলে উৎসাহ দিতে চার্টার্ড প্লেন একটি নতুন সংযোজন। বাংলার মানুষ দেখছেন, ভারতের মানুষ দেখছেন'। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee) বিজেপিতে (BJP) যোগ দেওয়ার পর এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। তৃণমূলত্যাগীদের তাঁর কটাক্ষ, 'যাঁরা গেলেন, তাঁরা যেমন বুক চিতিয়ে বলছেন, সেভাবে মানুষের পাশে থেকে যদি বুক চিতিয়ে কাজ করতেন, তাহলে দলবদলের প্রয়োজন হত না'।  'এটা চূড়ান্ত বোকা বোকা কথা', রাজীবের 'ডাবল ইঞ্জিন' মন্তব্যের পাল্টা দিলেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty)।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রকাশ্য জনসভায় রাজনৈতিক দলের পতাকা হাতে নিয়ে নেতা-নেত্রীদের দলবদল করাটাই দস্তুর। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rajib Banerjee) আগে পর্যন্ত তৃণমূল বা অন্য় দল থেকে যাঁরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে অন্যথা হয়নি। এমনকী, মেদিনীপুরে এক জনসভায় অমিত শাহের (Amit Shah) উপস্থিতিতে গেরুয়াশিবিরের নাম লিখিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari)। তাহলে প্রাক্তন বনমন্ত্রীর ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ঘটল কেন?  দু'দিন সফরে শুক্রবার রাতে কলকাতায় আসার ছিল অমিত শাহের (Amit Shah)। ঠিক ছিল, তাঁর উপস্থিতিতে নিজের গড় হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে বিজেপিতে যোগ দেবেন রাজীব। কিন্তু দিল্লিতে ইজরায়েলি দূতাবাসের সামনে বিস্ফোরণের কারণে শেষবেলায় বাতিল হয়ে যায় শাহের সফর। এরপরই চার্টার্ড বিমান পাঠিয়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূলে আরও বেশ কয়েকজন নেতাকে দিল্লিতে ডেকে পাঠান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেই মতো গতকাল দিল্লিতে অমিত শাহের বাড়িতে বৈঠকের পর আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee)-সহ বাকিরা। 


আরও পড়ুন: "কলকাতা-দক্ষিণ ২৪ পরগণা আরও ফাঁকা করব, Private কোম্পানির জন্য লোক থাকবে না": Suvendu


পরে সাংবাদিক সম্মেলনে  রাজীব  বলেন, 'হতাশায় ভুগছেন যুবক ভাইয়েরা। কর্মসংস্থান নেই। তাঁদের জন্য শিল্প আনতে হবে। ব্যবস্থা করতে হবে কর্মসংস্থানের। আগামী দিনে বাংলার জন্য স্পেশাল প্যাকেজ চাই।' পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) চাঁচাছোলা প্রতিক্রিয়া, 'এতদিন তো মন্ত্রী ছিলেন, পারেননি কেন? এটা তো তাঁর ব্যর্থতা'।


আরও পড়ুন: আমি ঝরা পাতা হলে তৃণমূলের আমাকে নিয়ে এত চিন্তা কেন? : রাজীব বন্দোপাধ্যায়


এদিন হাওড়া ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে সভায় 'ডাবল ইঞ্জিন' মন্তব্যকে হাতিয়ার করে তৃণমূল (TMC) ছেড়ে সদ্য বিজেপিতে (BJP) যোগ দেওয়া নেতাকে কটাক্ষ করেছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও (Sujan Chakraborty)। বলেন, 'রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় যাই বলে থাকুন না কেন, এটা অত্যন্ত বোকা বোকা কথা। কেন্দ্রে বিজেপির সরকার, ত্রিপুরায় বিজেপির সরকার, ত্রিপুরার মানুষকে জিজ্ঞেস করুন। কেন্দ্রে বিজেপির সরকার, উত্তরপ্রদেশের বিজেপির যোগী সরকার, মানুষ কি ভালো আছেন? বিজেপির ডাবল ইঞ্জিন মানে ডাবল আক্রমণ।' দলবদলের পর এদিন প্রথমবার হাওড়ায় ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে বিজেপির সভা বক্তব্য রাখেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee)। কেন্দ্র ও রাজ্যে একই সরকারের পক্ষে সওয়াল করে তিনি বলেন,  'আমরা চাই 'ডবল ইঞ্জিন' সরকার। যা মানুষকে দিশা দেখাতে পারবে।'