সন্দীপ প্রামাণিক: খাস কলকাতায় গণধর্ষণ! ভয়ংকর ঘটনা কলকাতার হরিদেবপুরে। ৬  মিলে এক নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, হরিদেবপুর থানার অন্তর্গত সোদপুর কালীতলার একটি ফ্ল্যাটে গণধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকা এক বান্ধবীর সাথে চা খেতে বেরিয়েছিল। সেখান থেকে আরও কয়েকজন বান্ধবী মিলে তাকে একটি ফ্ল্যাটে নিয়ে যায়। অভিযোগ, সেখানেই ৬ জন মিলে তাঁকে গণধর্ষণ করে। এই ঘটনায় মূল অভিযোগের আঙুল অরূপ সেনগুপ্ত ওরফে পুটু নামে এক যুবকের দিকে। ইতিমধ্যেই মূল অভিযুক্ত সহ মোট ৫ জনকে আটক করেছে হারিদেবপুর থানার পুলিস। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা নাবালিকার মা নেই। বাবার একটি ঘড়ির দোকান রয়েছে। এক দিদি রয়েছে। দিদির বিয়ে হয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয় ওই নাবালিকা। এদিন ভোর ৫টা নাগাদ বাড়ি ফিরে আসে সে। বাড়িতে ফিরেই কান্নায় ভেঙে পড়ে ওই নাবালিকা। তারপরই গোটা ঘটনা সামনে আসে। পড়শি ও পরিজনদের গোটা বিষয়টি জানায় সে। 


উল্লেখ্য, সোমবার রাতেই লড়াই থেমে গিয়েছে সোদপুর ঘোলার নির্যাতিতার। সোমবার রাতে আরজিকর হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সোদপুর-ঘোলার নির্যাতিতা। তাঁর পেটে, হাতে কোপের চিহ্ন ছিল। আততায়ীরা তাঁর গলার নলি পর্যন্ত কেটে দেয়। আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে শরীরের সব ক্ষত চিকিৎসার পর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতির জেরে তাঁকে সার্জিক্যাল ইউনিটেই ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। শনিবার তাঁর চিকিৎসায় ৭ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ডও গঠন করে আরজিকর। কিন্তু শেষপর্যন্ত কোনও চেষ্টা-ই আর কাজে এল না। 


এই ঘটনায় ভরসন্ধেয় বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। জানা গিয়েছে, ঘোলার মহিষাপোতা এলাকায় স্বামী ও এক ছেলের সঙ্গে থাকতেন ওই মহিলা। ঘড়িতে তখন সাড়ে ৮টা। অভিযোগ, বাড়ি থেকে ওই মহিলাকে তুলে নিয়ে যায় ৩ দুষ্কৃতী। পাশেই চাউলপোতা এলাকায় বাঁশবাগানে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। দুষ্কৃতীদের বাধা দেন নির্যাতিতা। নিজেকে বাঁচাতে রীতিমতো ধাক্কাধাক্কি ও চিৎকার করতে শুরু করেন তিনি। 'ধর্ষণে' বাধা পেয়ে তখন ওই মহিলাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে ৩ দুষ্কৃতী। গলার নলি কেটে দেয়! 


এদিকে ততক্ষণে চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে চলে এসেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। একজনকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন তাঁরা। বাকি দু'জন পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় সঙ্গে সঙ্গে নির্যাতিতাকে নিয়ে যাওয়া হয় পানিহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। সেখান থেকে তাঁকে রেফার করে দেওয়া হয় কলকাতার আরজিকর হাসপাতালে। সেখানেই কদিন ধরে যমে-মানুষে টানাটানি চলে। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে শেষমেশ হার স্বীকার করে নেন ওই নির্যাতিতা।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)