শিশুকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় ধুন্ধুমার স্কুলে, `পুলিসের মারে` ফাটল মাথা
অভিযোগ , বনধের দিন স্কুলের ভিতরই ওই শিশুর উপর নির্যাতন চালান অভিযুক্ত শিক্ষক। নির্যাতনের ঘটনাকে কার্যত আমল দিতে নারাজ স্কুল কর্তৃপক্ষ।
নিজস্ব প্রতিবেদন : শিশুকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় ফের উত্তাল হল শহরের একটি স্কুল। ঢাকুরিয়া বিনোদিনী গার্লস হাইস্কুলে ৬ বছরের শিশুকে যৌন হেনস্থার ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত শিক্ষককে। এদিকে, যৌন নির্যাতনের ঘটনার কথা সামনে আসতেই এদিন সকাল থেকে উত্তেজনা ছড়ায় স্কুল চত্বরে। বিক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবক-অভিভাবিকারা। সময়ের সঙ্গে ক্রমশ রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় স্কুল চত্বর।
অভিযোগ, স্কুলের কোলাপসিবল গেট ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন অভিভাবক-অভিভাবিকারা। বাইকে ভাঙচুর চালান বিক্ষুব্ধ অভিভাবকরা। এমনকি পুলিসকে লক্ষ্য করে ইট, পাটকেল ছোঁড়া হয় বলেও অভিযোগ। পুলিস জানিয়েছে, পার্শ্ববর্তী বাড়িগুলির দোতলা থেকেও ইট ছোঁড়া হয়েছে। পুলিসের বিরুদ্ধে পাল্টা লাঠিচার্জের অভিযোগ এনেছেন অভিভাবকরাও। অভিযোগ, এলোপাথারি লাঠি চালায় পুলিস। পুলিসের লাঠির ঘায়ে মাথা ফেটে যায় এক মহিলার। রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি ক্ষোভ উগরে দেন পুলিসের বিরুদ্ধে। স্কুল চত্বর কার্যত রণাঙ্গনের চেহারা নিয়ে নেয়। দেখা যায়, ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে ছেঁড়া জুতো। পড়ে রয়েছে ইটের আধলা, ইটের টুকরো।
আরও পড়ুন, বলরামের পাকস্থলীতে মিলল বিষ, যুগলের রহস্যমৃত্যুর পিছনে তৃতীয় কারও হাত?
অভিযোগ, বনধের দিন স্কুলের ভিতরই ওই শিশুর উপর নির্যাতন চালান অভিযুক্ত শিক্ষক। জানা গিয়েছে, সেই সময় ওই শিশুর মা ডেঙ্গিতে আক্রান্ত ছিলেন। তাই সেই সময় ঘটনার কথা জানা যায়নি। এদিন সকালে স্কুলে আসেন নির্যাতিতা শিশুর মা। স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। আর তারপরই সামনে আসে ফের শহরের নামজাদা স্কুলে ৬ বছরের শিশুর উপর যৌন নির্যাতনের মতো ন্যক্কারজনক ঘটনা। নিগ্রহের ঘটনা সামনে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্কুলে উপস্থিত অভিভাবকরা। অভিযুক্ত শিক্ষককে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য দাবি জানাতে থাকেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই স্কুলে পৌঁছে যায় বিশাল পুলিস বাহিনী। ক্ষুব্ধ অভিভাবকদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বেঁধে যায় পুলিসের।
অভিভাবকদের অভিযোগ, নির্যাতনের ঘটনায় কার্যত হাত গুটিয়ে বসেছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে আশ্বাস দিলেও, আখেরে কোনও ব্যবস্থা-ই নেয়নি কর্তৃপক্ষ। তাঁরাই ঘটনার কথা পুলিসে ও স্কুলের চেয়ারম্যানকে জানান। এক ছাত্রীর মা অভিযোগ করেন, নির্যাতনের ঘটনাকে কার্যত আমল দিতে নারাজ স্কুল কর্তৃপক্ষ। জনৈক স্কুল শিক্ষিকা এমনও মন্তব্য করেছেন যে, "ওই টুকু বাচ্চাদের মধ্যে আছেটা কী? যে উনি করবেন!"