ওয়েব ডেস্ক : বাড়ির মধ্যেই উদ্ধার দেহ। গরফায় প্রৌঢ়ার মৃত্যু ঘিরে ঘনাচ্ছে রহস্য। চিকিত্সার খরচ টানতে অপারগ বাবা মাকে খুন করেছে, দাবি ছেলের। বেপাত্তা অভিযুক্ত কল্যাণ দাস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

চার মাস আগে সেরিব্রাল অ্যাটাক। তারপর থেকে বিছানায়। মঙ্গলবার রাতে নিজের ঘর থেকেই উদ্ধার হল দীপা দাসের নিথর দেহ। প্যারালাইজড স্ত্রীর দায় নিতে নারাজ স্বামী? বাবার হাতেই মা খুন, চাঞ্চল্যকর দাবি ছেলের। কিন্ত, কেন এমন অভিযোগ ছেলের? উত্তরটা খুঁজতে পিছিয়ে যেতে হবে চারটে মাস।


আরও পড়ুন- সল্টলেকের সুকান্তনগরে মহিলার আত্মহত্যা, ধৃত স্বামী ও শাশুড়ি


২০১৬-র ডিসেম্বরে সেরিব্রাল অ্যাটাক হয় দীপা দাসের। ৪ মাসে চিকিত্সায় খরচ হয় প্রায় ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা। কলকাতা পুরসভার কর্মী কল্যাণ দাসের পক্ষে চিকিত্সার খরচ টানা মুস্কিল হচ্ছিল। খরচ সাধ্যের বাইরে চলে যাওয়ায় মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন কল্যানবাবু। শুভজিতের আশঙ্কাই হয়তো সত্যি হল মঙ্গলবার রাতে। রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ বাড়ি ফেরে শুভজিত্‍। দেখে মায়ের দরজা বন্ধ। ক্যামেরায় ভিডিও অন করে ভিতরের ফুটেজ তোলে শুভজিত্‍। দেখা যায় বিছানায় পড়ে রয়েছে মায়ের দেহ। সঙ্গে সঙ্গে গরফা থানায় খবর দেওয়া হয়। দরজা ভেঙে প্রৌঢ়ার দেহ উদ্ধার করে পুলিস। প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান..
শ্বাসরোধ করে প্রৌঢ়াকে খুন করা হয়েছে। এদিকে, রাত থেকেই বেপাত্তা কল্যাণবাবু। একটু একটু করে সুস্থ হয়ে উঠছিলেন দীপা দেবী। তার মধ্যে এমন ঘটনায় হতম্বভ প্রতিবেশীরা।


কল্যাণ দাসের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করেছে পুলিস। শুধুই চিকিত্সার টানাপোড়েন না খুনের পিছনে আরও কোনও কারণ রয়েছে? জানতে শুরু হয়েছে


তদন্ত।