ওয়েব ডেস্ক: বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের হয়ে প্রচারে নামতে রাজি নন মিঠুন চক্রবর্তী। সারদায় নাম জড়ানোর পরেই দূরত্ব বেড়েছিল দলের সঙ্গে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আলগা হয়েছে সম্পর্কের বাঁধন। সূত্রের খবর, এখন আর দলের নেতদের ফোনও তোলেন না সুপার স্টার। তা হলে কী সাংসদের সঙ্গে তৃণমূলের বিচ্ছেদ আসন্ন?
সত্যিই তো কোথায় গেলেন মিঠুন চক্রবর্তী? পর্দা কাঁপানো নায়ক কি তাহলে  সিবিআই জুজুতে কাবু। নাকি অন্য কোনও কারণ?
২০১৪-র ফেব্রুয়ারিতে  মিঠুন চক্রবর্তীকে রাজ্যসভার সাংসদ মনোনীত করে তৃণমূল। তখন সরকারের বড় অনুষ্ঠান বা তৃণমূলের সভায় দেখা যেত মহাগুরুকে।
তবে ২০১৪-র  জুনে সারদায় নাম জড়ায় মিঠুনের। ইডি তলব করে তাঁকে। সর্বোচ্চ করদাতা হিসাবে দেশ তাঁকে চেনে। সেই মিঠুন সারদার মতো আর্থিক দুর্নীতিতে নিজের নাম জড়ানো মেনে নিতে পারেননি। এবছর জুনে সারদা থেকে পাওয়া টাকাও ফিরিয়ে দেন ইডিকে।
সূত্রের খবর, তার পরেই দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়েছেন মিঠুন।
শোনা যাচ্ছে, দলের একাংশের কথা শুনেই সারদার অনুষ্ঠান করতে রাজি হন তিনি। তার মতে, দল তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসঘাকতা করেছে। এর পরেই তৃণমূলের থেকে নিজেকে অনেক দূরে সরিয়ে নিয়েছেন মহাগুরু। গত ছ মাসে তিনি দলের কোনও শীর্ষ নেতার ফোনও ধরেননি। শুধুমাত্র বিজয়ার পর শুভেচ্ছা বিনিময় হয়েছিল মুকুল রায়ের সঙ্গে।
ইদানিং সরকার বা দলের কোনও অনুষ্ঠানেও দেখা যায় না তাঁকে। কলকাতাতেও বিশেষ আসেন না। দেখা সক্ষাত্ নেই নেতৃত্বের সঙ্গেও।
আসন্ন বিধানসভা ভোটে স্টার ক্যাম্পেনারের তালিকায় তৃণমূল নাম রেখেছিল এই সুপারস্টার সাংসদেরও। তবে গর রাজি মিঠুন নিজেই।
স্বচ্ছ ইমেজে লাগা সারদা কালি মুছতে এখন মরিয়া সুপারস্টার। দল নিয়ে কিছুটা অভিমানীও। রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন, মিঠুনের সঙ্গে তৃণমূলের বিচ্ছেদ এখন সময়ের অপেক্ষা।