নিজস্ব প্রতিবেদন: 'আমার কাছে কেন্দ্রীয় বাহিনী আছে'। রাজ্য সরকারের দেওয়া নিরাপত্তা ফিরিয়ে দিলেন নোয়াপাড়ার বিধায়ক সুনীল সিং (Sunil Singh)। ফের কি পুরনো দল ফিরবেন? বিজেপি বিধায়কের স্পষ্ট জবাব, 'বিধানসভার শেষ অধিবেশন ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হয়ে গেল। দু'টো কথা বললাম। আর কোনও আলোচনা হয়নি। কোনও তৃণমূল নেতা কি বলেছেন, আমি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছি?' 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

খাতায়-কলমে দু'জনেই এখনও তৃণমূল বিধায়ক। বিজেপিতে (BJP) যোগ দেওয়ার পর গতকাল আচমকাই বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) ঘরে গিয়ে দেখা করেন বনগাঁর বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস (Biswajit Das) ও নোয়াপাড়ার বিধায়ক সুনীল সিং (Sunil Singh)। সূত্রের খবর, এদিন সুনীলের জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে রাজ্য সরকার। সকালে দু'জন পুলিসকর্মীকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বিধায়কের বাড়িতে। কিন্তু তাঁদের ফিরিয়ে দেন নোয়াপাড়ার তৃণমূল ত্যাগী বিধায়ক। Zee ২৪ ঘণ্টাকে সুনীল সিং বলেন, 'সিকিউরিটি নিয়ে কী করব! আমার কাছে কেন্দ্রীয় বাহিনী আছে। সকালে নোয়াপাড়া থানা থেকে দু'জন পুলিসকর্মী এসেছিল। আমি জানতাম না, নিরাপত্তা দেওয়া হবে'। আর দলবদল? সেই জল্পনাতেও ঢল ঢেলে দিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, রাজ্য তরফে প্রস্তাব দেওয়া হলেও, নিরাপত্তা নিতে রাজি হননি বনগাঁর বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসও (Biswajit Das)।


আরও পড়ুন: \তৃণমূলে হুমায়ুন কবীর, প্রার্থী হচ্ছেন ভোটে; ক্ষমতায় এসে জবাব দেব : লকেট


প্রসঙ্গত, গতকাল বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর সুনীল সিং ও বিশ্বজিৎ দাসের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya), মুকুল রায় (Mukul Roy) ও অর্জুন সিং (Arjun Singh)। হেস্টিংসে পার্টি অফিসে তখন দলে নবাগতদের সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছিল। বৈঠক শেষে সেই অনুষ্ঠানের মাঝপথে দু'জনে মঞ্চে তুলে সংবর্ধনাও দেওয়া হয়। গেরুয়াশিবির সূত্রের খবর, বিধানসভায় মুখ্য়মন্ত্রী নিজেই সুনীল ও বিশ্বজিৎকে ফের দলে ফেরানোর চেষ্টা করেছিলেন।