নিজস্ব প্রতিবেদন: দমদমে মডেলের রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এলো। সবকিছু খতিয়ে দেখছে নাগেরবাজার থানার পুলিস। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পুলিস সূত্রে খবর, এর আগেও দুইবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে মডেল বিদিশা দে মজুমদার। কিন্তু বান্ধবী এবং সহকর্মীদের বাধার মুখে পড়ে তিনি আর সেই কাজ করেননি। বুধবার ভোর রাত পর্যন্তও বিদিশাকে বোঝানোর চেষ্টা করে তার এক বান্ধবী কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।


মডেলের বান্ধবীরা অনুভব বেরা নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও নাগেরবাজার থানায় বিদিশার পরিবারের তরফে দায়ের  করা অভিযোগে অনুবভের নাম করা হয়নি। পুলিস একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে গোটা ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে। বান্ধবীদের দাবি, গত চার মাস ধরে ঝাড়গ্রামের বাসিন্দা অনুভব বেরা নামে এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বিদিশার। দাবি করা হয়েছে ওই যুবকের সঙ্গে আরও অনেক মেয়ের সম্পর্ক ছিল। সেই কারণেই মানসিক অবসাদ আত্মহত্যা করেছেন তিনি। 


বৃহস্পতিবার বিদিশার ময়নাতদন্ত হবে কামারহাটি সাগর দত্ত হাসপাতালে।


আরও পড়ুন: Model Death: পল্লবীর পর এবার বিদিশা, নাগেরবাজারে উঠতি মডেলের রহস্যমৃত্যু


পুলিস সূত্রে খবর, সন্ধ্যায় নাগেরবাজার থানার ফোন করেন বিদিশার এক বান্ধবী। এরপর ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ওই উঠতি মডেলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে উদ্ধার করে পুলিস। সুইসাইড নোটে অবশ্য নিজের মৃত্যুর জন্য কাউকে দায়ী করেননি তিনি। ডায়েরির তিন পাতা জুড়ে ছিল সুইসাইড নোট। যে বাড়িতে ভাড়া থাকতেন তাঁর মালিকের আত্মীয়ের দাবি নোটের প্রথম পাতায় লেখা ছিল, 'আমি ক্যান্সার আক্রান্ত"। এছাড়াও উল্লেখ রয়েছে কেরিয়ার জনিত হতাশার কথাও। যদিও হাতের লেখা এবং ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার কথা ঠিক কিনা তা এখনও প্রমান হয়নি।  


যে মডেলিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যেতেন বিদিশা, এই মাসের শুরু থেকে সেখানে যাওয়া অনিয়মিত হয়ে যায়। বন্ধুদের সঙ্গে একাধিকবার সম্পর্কের টানাপোড়েনের কথা বলতেন। গত ৯ মে একটি ওয়ার্ক শপে যাওয়ার কথা ছিল। আগের রাতে তিনি তাদের জানান, শরীর খারাপের জন্য যেতে পারবেন না। ফলে সেই বড় কাজ চলে যায়।


সুইসাইড নোটে উল্লেখ করা হয়েছে কেরিয়ার নিয়ে সমস্যায় ছিলেন তিনি। মনস্থির রাখতে না পেরে এই পথ বেছে নেওয়া। তার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ি নয় বলেও নোটে লিখেছেন বিদিশা। পুলিস সূত্রে খবর, বিদিশার সিডিআর খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিদিশার দুটি মোবাইল সিজ করা হয়েছে। কল লিস্ট ও চ্যাট লিস্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিন বান্ধবীকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর নিশ্চিত হতে চাইছে পুলিস।


তবে তদন্তকারী অফিসাররা বন্ধুদের বয়ানকেও গুরুত্ব দিচ্ছেন। কাজ না পাওয়ার হতাশার সঙ্গে বয়ফ্রেন্ডের বিশ্বাসভঙ্গ যুক্ত হয়েছিল কিনা, সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে পুলিস। পাশাপাশি এখনও পর্যন্ত মডেলিং এর কী কাজ তিনি করেছেন, আর কোন কাজের জন্য কথাবার্তা চলছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। সম্প্রতি কার কার সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ অথবা ফোনে কথা হয়েছে, তাও খতিয়ে দেখতে কল ডিটেল পরীক্ষা করা হচ্ছে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)