মৌমিতা চক্রবর্তী


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০১৪ সালে মোদী হাওয়ায় বিজেপির উত্থান ও তৃণমূলের দাপটের মাঝেও রায়গঞ্জ আসন ছিনিয়ে এনেছিলেন মহম্মদ সেলিম। সেই রায়গঞ্জই এবার দাবি করছে কংগ্রেস। আর তাতে যারপরনাই ক্ষুব্ধ সিপিএম সাংসদ। জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সেই ক্ষোভ উগরে দিলেন সেলিম। তাঁর কথায়, ''বিজেপি ও তৃণমূলের হাতে তামাক খেয়ে এসব করা হচ্ছে। এরা দুই দলের হাত শক্ত করছে। জেতার পর হয়তো কংগ্রেসেও থাকবে না''। 


মহম্মদ সেলিমের কটাক্ষ, অনেকের কাছে গতবার আমার জেতাটাই অপরাধ হয়ে গিয়েছে। সব শিয়াল এক হয়ে বলছে, সেলিমকে সংসদে যেতে দেওয়া যাবে না। এই কটাক্ষের নিশানায় কে? সেটাই এখন আস্ত ধাঁধা। দীপা দাশমুন্সি নাকি দলের কোনও নেতাকে খোঁচা দিলেন সেলিম? সেলিম মনে করিয়ে দেন, সমঝোতার প্রাথমিক শর্ত জেতা আসনে প্রার্থী দেওয়া হবে। ব্যক্তি স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। 



বলে রাখি, দিল্লিতে এদিন রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকে সোমেন মিত্র স্পষ্ট জানিয়েছেন, মুর্শিদাবাদ ও রায়গঞ্জ আসন কোনওভাবে ছাড়া যাবে না। ওই দুটি আসনেই কংগ্রেসের জেতার সম্ভাবনা বেশি। সিপিএমের সংগঠন ওখানে আগের মতো আর নেই। দরকার হলে ৪২টি আসনেই প্রার্থী দেবে কংগ্রেস।সূত্রের খবর, কংগ্রেসের এমন আবদার মানতে নারাজ সিপিএম। দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি মনে করেন, জেতা আসন কংগ্রেসকে ছেড়ে দিলে ধাক্কা খাবে কর্মীদের আত্মবিশ্বাস। 


আরও পড়ুন- এয়ার স্ট্রাইকের পরও বালাকোটে অক্ষত জইশের মাদ্রাসা, দাবি উপগ্রহ চিত্রে


২০১৪ সালে রায়গঞ্জে জিতেছিলেন সিপিএমের মহম্মদ সেলিম। স্বাভাবিকভাবেই তিনিই এবার ওই আসনের প্রার্থী হবেন। কিন্তু গতবারের পরাজিত প্রার্থী দীপা দাশমুন্সি রায়গঞ্জ ছাড়তে নারাজ। কংগ্রেসের যুক্তি, রায়গঞ্জে সিপিএম হারবে। বরং প্রিয়রঞ্জন আবেগে কংগ্রেসের জেতার সম্ভাবনা বেশি। এদিকে মুর্শিদাবাদ থেকে জিতেছিলেন সিপিএমের বদরুদ্দোজা খান। সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদে আবু হেনাকে প্রার্থী করতে চাইছে কংগ্রেস।