তৃণমূল-বিজেপি রথের রশি টানাটানির আবহে কলকাতায় আসছেন মোহন ভাগবত
লোকসভার আগে ভাগবতের বাংলা সফর গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন অনেকে।
অঞ্জন রায়
রথযাত্রা নিয়ে রাজ্য রাজনীতির উত্তপ্ত পরিবেশের মধ্যেই কলকাতায় পা রাখতে চলেছেন সরসঙ্ঘ চালক মোহন ভাগবত। আগামী ১০ ডিসেম্বর রাতে আসার কথা তাঁর। এরপর উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে সাংগঠনিক বৈঠক রয়েছে তাঁর।
রথ নিয়ে চলছে শাসক ও বিজেপির দড়ি টানাটানি। সিঙ্গল বেঞ্চ রথযাত্রায় স্থগিতাদেশ দেওয়ার পর ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেছে রাজ্য বিজেপি। শুক্রবার ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ স্বস্তির বার্তা দিয়েছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে। এমন প্রেক্ষাপটেই রাজ্যে আসতে চলেছেন মোহন ভাগবত। ১০ ও ১১ ডিসেম্বর উত্তরবঙ্গে তাঁর সাংগঠনিক বৈঠক করার কথা। ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর থাকবেন কলকাতায়। দক্ষিণবঙ্গের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করবেন সরসঙ্ঘচালক। আরএসএস সূত্রে খবর, উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে মোহন ভাগবতের। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে এই বৈঠক তাত্পর্যপূর্ণ বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। সূত্রের খবর, বিজেপি নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করতে পারেন ভাগবত।
বিগত রাজ্য সফরে পশ্চিমবঙ্গে সঙ্ঘের কার্যপ্রণালী নিয়ে অসন্তোষপ্রকাশ করেছিলেন মোহন ভাগবত। সংগঠনকে চাঙা করতে কেরলের নজির টেনে বলেছিলেন, সে রাজ্যে প্রবল বাধা সত্ত্বেও সঙ্ঘ তৃণমূলস্তর পর্যন্ত পৌঁছতে পারছে না, কিন্তু এরাজ্যে আশানরূপ উন্নতি ঘটেনি। যদিও সঙ্ঘ সূত্রেই খবর, গত ৫ বছরে পশ্চিমবঙ্গে তিনগুণ বেড়েছে শাখা। সদস্য সংখ্যার বৃদ্ধিও দেশের নিরিখে অনেকটা বেশি।
লোকসভার আগে ভাগবতের বাংলা সফর গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন অনেকে। সঙ্ঘ অস্বীকার করলেও বিজেপিতে শেষ কথা আরএসএস-ই। লোকসভার আগে সংগঠনকে দাওয়াই দিতে পারেন ভাগবত। অতিসম্প্রতি রাম মন্দিরের জন্য সরকারকে আইন আনার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন সরসঙ্ঘ চালক। এরাজ্যে রাম মন্দিরের দাবি একাধিক ধর্মসভা করছে ভিএইচপি। সবমিলিয়ে এটা বলাই যায়, হিন্দুত্বের হাওয়া আরও তেজ করাই লক্ষ্য হবে ভাগবতের। আর সেই রণনীতি তৈরি করতেই আসছেন সরসঙ্ঘ চালক।
বলে রাখি, আদালতের অনুমতি পেলে বিজেপির রথযাত্রা শুরু হবে। আর রথযাত্রাকে ঘিরেই প্রধানমন্ত্রীর সভা করানোর পরিকল্পনা করেছে বিজেপি। এতে স্পষ্ট, লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গে আসন বাগানোর সুযোগ দেখছে গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্ব। আর সে কারণেই মোদী-ভাগবতের আগমন, মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের।
আরও পড়ুন- প্রধানমন্ত্রীর প্রকল্পে কাশীতে ভাঙচুর শুরু হতেই বেরিয়ে এল একের পর এক পুরনো মন্দির