বর্ষবরণের হোর্ডিংয়ে সুদীপ-নয়নাকে কি `ছেঁটে` ফেলল তৃণমূল? প্রশ্ন সাংসদ কুণালের
সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কেও কি ছেঁটে ফেলতে চাইছে তৃণমূল? এই প্রশ্নটাই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মনে। বর্ষবরণের হোর্ডিংয়ে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি না থাকায়, ঘুড়িয়ে এই প্রশ্নটাই তুলেছেন সয়ং তৃণমূলের একসময়ের প্রথম সারির নেতা তথা `সাস্পেন্ডেড` সাংবাদিক সাংসদ কুণাল ঘোষ। নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টের দেওয়ালে `সুদীপদাকে অন্তত হোর্ডিংয়ে রাখুন...` এই শিরোনামের পোস্টে কার্যত আক্ষেপের সুরেই তিনি জানতে চেয়েছেন, `তৃণমূলের এই মনে পড়া আর ভুলে যাওয়ার টাইমিংটা এক অপূর্ব শিল্পের পর্যায়ে গেছে। দুঃসময়ের সেইসব দিনের কর্মীরা কি দেখতে পাচ্ছেন সব?`
কলকাতা: সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কেও কি ছেঁটে ফেলতে চাইছে তৃণমূল? এই প্রশ্নটাই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মনে। বর্ষবরণের হোর্ডিংয়ে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি না থাকায়, ঘুড়িয়ে এই প্রশ্নটাই তুলেছেন সয়ং তৃণমূলের একসময়ের প্রথম সারির নেতা তথা 'সাস্পেন্ডেড' সাংবাদিক সাংসদ কুণাল ঘোষ। নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টের দেওয়ালে "সুদীপদাকে অন্তত হোর্ডিংয়ে রাখুন..." এই শিরোনামের পোস্টে কার্যত আক্ষেপের সুরেই তিনি জানতে চেয়েছেন, "তৃণমূলের এই মনে পড়া আর ভুলে যাওয়ার টাইমিংটা এক অপূর্ব শিল্পের পর্যায়ে গেছে। দুঃসময়ের সেইসব দিনের কর্মীরা কি দেখতে পাচ্ছেন সব?"
ইংরাজি বর্ষবরণে আগের দিন রাতেই (৩১ ডিসেম্বর, ২০১৬) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা, রোজভ্যালি কাণ্ডে তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে। তারও কিছুদিন আগে রোজভ্যালি কাণ্ডেই গেফতার হন তৃণমূল সাংসদ তাপস পাল। চার মাস ১১ দিন অতিক্রান্ত, যত দিন যাচ্ছে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূলের আক্রমণ যেন ক্রমশ শব্দহীন হয়ে পড়ছে। কলকাতা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রে এতদিন পর্যন্ত সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিঃশর্ত মুক্তি চেয়ে যে হোর্ডিংগুলো আকশ ছুঁয়ে দাঁড়িয়েছিল, সেগুলোর ওপর এবার 'চুনকাম' চলছে। পোস্টার আর হোর্ডিংয়ের ওপর চাপছে বাংলা বর্ষবরণের নতুন হোর্ডিং, পোস্টার। অথচ এই নতুন হোর্ডিংয়ে কোথাও ছবি নেই তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এমনকি কলকাতা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত চৌরোঙ্গি বিধানসভাতেও সুদীপ পত্নি নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়ও 'হাওয়া'!
বেলেঘাটা বিধানসভা কেন্দ্রের বর্ষবরণের হোর্ডিংয়েও সুদীপ নেই। যিনি আছেন তিনি নারদকাণ্ডে অভিযুক্ত কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। হোর্ডিংয়ে আছেন নায়িকা তথা তৃণমূলের বিধায়ক (রায়দিঘি) দেবশ্রী রায়ও। আরও আছেন বিভিন্ন সিনেমা জগতের কলাকুশলীরা। নেই সুদীপ-নয়না। আর এতেই দানা বাঁধছে প্রশ্ন। দিল্লিতে এখন দলের মুখ সাংসদ ডেরেক। সৌগত রায় এবং সুখেন্দু শেখরকে দিয়েই লোকসভায় কাজ চালাচ্ছে তৃণমূল। তবে কী অভিযুক্ত সাংসদ এবং তাঁর স্ত্রীর থেকে দূরত্ব বাড়াছে তৃণমূল, প্রশ্ন তৃণমূলেরই একাংশের।