নিজস্ব প্রতিবেদন:   প্রণব চৌধুরী। গত কয়েকদিন ফেসবুকের ভার্চুয়াল জগতে এই নামটি খুবই পরিচিত। শুধু নাম না বলে বদনাম বলাই শ্রেয়! মেট্রো কাণ্ডের পর এই ব্যক্তির ফেসবুক প্রোফাইলের স্ক্রিন শট হয়ে উঠেছিল ভাইরাল। ‘মেট্রো দাদু’ বা ‘দমদম দাদু’ শব্দবন্ধ ব্যবহার করে অনেকেই সেই স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন এবং তাঁকে ভর্ত্সনা করে নিজের মতামও জানিয়েছেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হ্যাঁ, সেই মেট্রোকাণ্ড! চলন্ত মেট্রোতে আলিঙ্গণ করার ‘অপরাধে’  দুই তরুণ তরুণীকে নিগ্রহ করার ঘটনায় প্রধান ও বলাইবাহুল্য ‘কাল্পনিক’  অপরাধী হিসাবে উঠে এসেছে এই ব্যক্তিরই নাম। দমদম মেট্রো স্টেশনে দুই তরুণ-তরুণীকে নিগ্রহের মুহূর্তের একটি ছবি প্রকাশিত হয় সোশ্যাল এবং সংবাদমাধ্যমে। মেট্রোকাণ্ডের সেই ছবি ছিল বেশ অস্পষ্ট। এরপর সেই অস্পষ্ট ছবি সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে নিমেষে ভাইরাল হয়ে উঠেছিল। ফেসবুক হোক বা হোয়াটসঅ্যাপ, আমজনতার মোবাইল ফোনের গ্যালারি ততক্ষণে ছেয়ে গেছে এই ব্যক্তির ছবিতে। আর সেই ছবি থেকেই কিছু অতি অত্যুত্সাহী মানুষ অপরাধীদের সণাক্ত করে ফেলেছিলেন। সেই ‘কল্পিত’ অভিযুক্তদের মধ্যে প্রধান প্রণব চৌধুরী। ফেসবুকে তাঁর ছবিও ভাইরাল হয়ে উঠেছিল।


এবার সেই প্রণব চৌধুরী প্রকাশ্যে এলেন। কথা জড়িয়ে গিয়েছে তাঁর। হাত কাঁপছে। শারীরিক অসুস্থতার ছাপ স্পষ্ট চেহারায়। মঙ্গলবার তিনিই করলেন ফেসবুক লাইভ। এই লাইভে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন বৃদ্ধ প্রণব রায়চৌধুরী। প্রণব চৌধুরী দাবি, ঘটনার দিন ওই এলাকাতে ছিলেনই না তিনি। এমনকী তাঁর শারীরিক অবস্থা এমন যে, একা বাড়ির বাইরে বেরোতে পারেন না।


শুনুন কী বলছেন তিনি...


 



প্রণব চৌধুরীর এই ফেসবুক লাইভ এখন রীতিমত ভাইরাল। যে ফেসবুকের সৌজন্যে তিনি এখন ভাইরাল, সেই ফেসবুকেই এদিন তিনি জানালেন নিজের অসহায়তার কথা। কীভাবে প্রতিনিয়ত অপমানিত হতে হচ্ছে তাঁকে, কীভাবে সমাজ, পরিবারের কাছে ছোটো হয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, মেট্রোকাণ্ডে নাম জড়ানোয় মানহানির মামলাও করেছেন প্রণব চৌধুরী। তবুও আজ ফেসবুক লাইভ করেই নেটিজেনদের কাছে প্রবীণ নাগরিকের আবেদন, সুষ্পষ্ট ও উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়া কেবল অনুমানের ভিত্তিতে যেন এভাবে দোষী সাব্যস্ত করার প্রবণতাকে প্রশ্রয় না দেওয়া হয়।