নিজস্ব প্রতিবেদন: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে খুন জুনিয়র মৃধা? নাকি নেপথ্যে রয়েছে অন্য ষড়যন্ত্র?  প্রিয়াঙ্কাকে টানা জেরায় সেই রহস্যভেদেই ব্যস্ত সিবিআই। ২০১১ সালে প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে টলিউডের বেশ কয়েকজনের  সম্পর্ক গড়ে ওঠে। জেরায় জানার চেষ্টা চলছে, কার কথায় সেদিন জুনিয়রকে অফিস থেকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন তিনি ? অথচ প্রিয়াঙ্কা নিজে যাননি কেন? সিবিআই সূত্রে  খবর, জেরায় বিস্তর অসঙ্গতি রয়েছে। সিবিআই মনে করছে, কাউকে আড়ালের চেষ্টা করছেন প্রিয়াঙ্কা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জুনিয়র মৃধা হত্যা রহস্যে পরতে পরতে চাঞ্চল্যকর মোড়। শুধু প্রিয়াঙ্কাই নন, ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে সিবিআইয়ের ব়্যাডারে রয়েছে আরও তিন জন। সিবিআই সূত্রে খবর, রহস্যভেদ করতে প্রিয়াঙ্কাকে দফায় দফায় জেরা চলছে। খুনের দিন প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে জুনিয়রের ২১ বার কথা হয়। সিবিআই সূত্রে খবর, রাত ৯.২১-এ শেষবার প্রিয়াঙ্কাকে ফোন করে জুনিয়র মৃধা। বেশ কিছুক্ষণ ধরে কথা হয় দুজনের। তারপরেই সাড়ে ৯টা নাগাদ খুন হন জুনিয়র মৃধা। 


শেষ কলে দুজনের মধ্যে কি কথা হয়, তার উত্তর দিতে পারছেন না প্রিয়াঙ্কা। এ ছাড়াও উঠে আসছে বেশ কয়েকটি প্রশ্নও। বাড়ি থেকে বেরিয়ে মাঝরাস্তায় কার সঙ্গে দেখা করেছিলেন প্রিয়াঙ্কা? কেন সেদিন গাড়ি বদল করেছিলেন? পার্টিতে যাওয়ার আগে স্বামীর সঙ্গে জুনিয়র না টলিউডের প্রযোজক-কাকে নিয়ে গন্ডগোল হয় তারও কোনও সদুত্তর মেলেনি বলেই সিবিআই সূত্রে খবর। মৃধাকে ফোন করে সল্টলেকে ডাকা নিয়েও বয়ান বদল প্রিয়াঙ্কার। সিবিআই সূত্রে এমনই  খবর। 


জুনিয়র মৃধা খুনের কিনারা করতে তৎপর সিবিআই। রবিবার মূল অভিযুক্ত প্রিয়াঙ্কাকে গ্রেফতারের পর গতকাল তাঁর ৭ দিনের CBI হেফাজতের কথা জানানো হয়েছে। আগামী ১২ জানুয়ারি ব্যারাকপুর কোর্টে পেশ করা হবে প্রিয়াঙ্কাকে।