নিজস্ব প্রতিবেদন: একটা আপাত নিরীহ অডিও ক্লিপ নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে হয়েছে মুকুল রায় ও কৈলাস বিজয়বর্গীয়র দূরাভাষে কথোপকথন। কণ্ঠস্বর দুটি মুকুল ও কৈলাসের বলেই মনে হয়েছে। তবে তা কার্যত নিশ্চিত করেছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। তাঁর কথায়, ''আমার ফোনে আড়িপাতা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে আদালতে যাব''। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কী বলে হয়েছে ওই অডিওক্লিপে?


কথোপকথনটি শুনে মনে হয়েছে, মুকুল রায়কে ফোনটি করেছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। ফোনে মতুয়া ভোট টানা ও চার আইপিএস অফিসার 'নিয়ন্ত্রণে'র করার কথা শোনা গিয়েছে মুকুল রায়ের মুখে। দূরাভাষে কৈলাস বিজয়বর্গীয় জানান, মতুয়া পরিবারের শান্তনু রায় তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন। অস্ট্রেলিয়া নিবাসী শান্তনু বিজেপির হয়ে মাঠে নামতে চায়। বিভিন্ন জায়গায় প্রচারের জন্য একটি গাড়ি চেয়েছেন তিনি। ছেলেটি তাঁর মনে ধরেছে বলেও মুকুলকে জানান কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তাঁর কথায়, ''ছেলেটা বেশ  স্পার্কিং''। মুকুলবাবু তখন কৈলাসকে আশ্বস্ত করেন, তাঁর সঙ্গে দেখা করলে শান্তনুকে সব কিছু দিয়ে সহযোগিতা করবেন। এমনকি এক সাংসদকে ভাঙিয়ে আনার কথাও মুকুলবাবু ফোনে বলেছেন। এর পাশাপাশি মুকুল রায় মনে করিয়ে দেন, ২০১৬ সালে শান্তনুর দাদা সুব্রত ঠাকুর বিজেপির প্রার্থী ছিলেন বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে। তিনি গরু পাচারে যুক্ত ছিলেন। কৈলাসকে মুকুল পরামর্শ দেন, ''মঞ্জুরকৃষ্ণ ঠাকুরের স্ত্রী শঙ্করের মা স্পার্কিং। ফাইটিং লেডি''।                 


রাজনৈতিক আলাপ-আলোচনার মাঝেই আর বিতর্কিত বিষয় নিয়ে কথা শুরু হয়। মুকুলের কাছে কৈলাস জানতে চান, সর্বভারতীয় সভাপতির কাছে গিয়ে কী কী বলতে হবে? মুকুলের বক্তব্য, চার জন আইপিএস অফিসারের উপরে সিবিআই নজর দিলে ভাল হয়। আয়কর দফতরের ডিরেক্টর অব ইনভেস্টিগেশন ও অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর পদে ঘনিষ্ট দুই আধিকারিককে নিয়োগের পরামর্শও দেন বিজেপি নেতা। তাঁকে এসএমএস করে নাম পাঠাতে বলে কৈলাস বিজয়বর্গীয়। 


 



অডিওক্লিপটির সত্যতা যাচাই করেনি জি ২৪ ঘণ্টা। তবে মুকুলের প্রতিক্রিয়া আসার পর কার্যত স্পষ্ট এটি বিজেপির দুই নেতার কথোপকথনের অডিওক্লিপ। মুকুল রায় বলেন, ''ফোনে আড়ি পাতা হচ্ছে। আমি আদালতে যাব''।


উল্লেখ্য, বিজেপিতে যোগদানের পর ফোনে আড়িপাতার অভিযোগে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মুকুল রায়। এব্যাপারে রাজ্য সরকারের বক্তব্য জানতে চায় আদালত। সেই মতো নথি জমা দেয় সরকার। এরপর দিল্লি হাইকোর্ট জানায়, উপযুক্ত তথ্য প্রমাণের অভাবে মুকুল রায়ের অভিযোগ খারিজ করা হল। তবে ফের চাইলে মুকুল আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন বলে জানান বিচারপতি।   


আরও পড়ুন- পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা নির্বাচনে পদ্ম ফোটাতে মুকুলেই ভরসা অমিতের