‘বিজেপিতে ছিলাম, আছি, থাকবো’, নিজের অবস্থান নিয়ে রায় শোনালেন মুকুল
মুকুল রায় জানান, তাঁকে নিয়ে যে সব খবর রটছে, তা অপপ্রচার। তদন্ত হওয়া উচিত।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সব জল্পনা উড়িয়ে রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি নেতা মুকুল রায় জানিয়ে দিলেন, ‘বিজেপিতে ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন।’ দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত না থেকে সোজা কলকাতায় চলে আসায়, জল্পনা তৈরি হয়েছিল মুকুলের সঙ্গে কি দূরত্ব বাড়ছে গেরুয়া শিবিরের। কেউ কেউ আরও এক ধাপ এগিয়ে বলছেন, মুকুল কি দলই ছাড়ছেন! এ প্রসঙ্গে এ দিন বিজেপির জাতীয় কর্ম সমিতির সদস্য মুকুল রায় জানান, তাঁকে নিয়ে যে সব খবর রটছে, তা অপপ্রচার। তদন্ত হওয়া উচিত।
মুকুল রায়ের সাফ কথা, দলের মধ্যে তাঁকে নিয়ে কোনও সংঘাত নেই। বিজেপিতে সম্মান পেয়েছেন তিনি। খোদ অমিত শাহ কলকাতায় এসে তাঁকে জয়ের অন্যতম কাণ্ডারি বলে গিয়েছেন। একশো শতাংশ সন্তুষ্ট বিজেপিতে যোগ দিয়ে। কলকাতা ফিরে আসা নিয়ে যে জল্পনা তৈরি হয়েছিল, তাতে মুকুলের যুক্তি ছিল চিকিত্সার জন্য তিনি এসেছেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “করোনা পরিস্থিতির সতর্কতা এবং শারীরিক অবস্থার কারণে দূরত্ব অবলম্বন করছেন মুকুল দা।”
আরও পড়ুন: 'সোজা বাংলায় বলছি', আজ থেকে একুশের লক্ষ্যে তৃণমূলের নতুন ভিডিয়ো সিরিজ
অন্দরের খবর, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে মন কষাকষি পর্ব চলছে মুকুলের। দিলীপের বিভিন্ন মন্তব্যে তেমনই ইঙ্গিত মিলছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে, এ দিন মুকুল রায় স্পষ্ট করে দেন, দলের কারোর সঙ্গে তাঁর সংঘাত বা মতবিরোধ নেই। কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে আগে যেমন যোগাযোগ ও সম্পর্ক ছিল, সেরকমই আছে।
সূত্রের খবর, মুকুলের কলকাতায় ফিরে আসা নিয়ে যে রাজনৈতিক জল্পনা তৈরি হয়েছে, বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় এবং স্বপন দাশগুপ্ত ভালো চোখে দেখেননি। এ বিষয়টি অমিত শাহের নজরে নিয়ে আসেন তাঁরা। এরপরই শাহের দফতর থেকে মুকুলকে ফের দিল্লিতে আসার তলব করা হয় বলে খবর। একুশে নির্বাচনের আগে একদা ‘তৃণমূলের চাণক্য’ কীভাবে বিজেপির চাণক্যের কাছে নিজেকে তুলে ধরেন, সেটাই এখন দেখার বলে মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা।