অঞ্জন রায়


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নভেম্বরে বিজেপিতে যোগদানের পর পঞ্চায়েত ভোটে প্রথম বড় পরীক্ষায় বসেছিলেন মুকুল রায়। সূত্রের খবর, পরীক্ষায় লেটার মার্কস না পেলেও যেভাবে দলের শ্রীবৃদ্ধি ঘটেছে, তাতে মুকুল রায়ের ভূমিকায় খুশি নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ। শুধু রাস্তায় নয়, হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে আইনি লড়াই দিয়েছেন মুকুল রায়, তাতেও অভিভূত কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আর তাই বিজেপিতে মুকুলের পদোন্নতির ভাবনাচিন্তা চলছে বলে জল্পনা।


২০১৬ সালে লোকসভা ভোটে মোদী হাওয়া ঢুকে পড়েছিল বঙ্গে। সেই থেকে বিজেপির গ্রাফ ক্রমশ ঊর্ধমুখী। তবে নেতৃত্বের সংকট ছিলই। অভিজ্ঞ মুখের সেই শূন্যস্থান মুকুল রায় পূরণ করেছে বলে মত অনেকেরই। বিজেপিতে যোগদান করে এখনও কোনও পদ পাননি মুকুল রায়। তবে পঞ্চায়েত ভোটে তাঁকে দলের আহ্বায়ক করে বার্তা দিয়েছিল দিল্লি। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্তে উষ্মাপ্রকাশ করেছিল রাজ্য নেতৃত্বের একাংশ। কিন্তু বিরোধিতা করার সাহস হয়নি কারওর। পঞ্চায়েতের ফলপ্রকাশের পর আর বিরোধিতার জায়গা নেই বলেই বিজেপির অন্দরের খবর। সূত্রের খবর, ফলাফল নিয়ে ভাবিত নন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বরং বিজেপি লড়াই ছুড়ে দিতে পেরেছে বলে মত তাদের। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও বাংলার ভোটের অশান্তি নিয়ে বার্তা দিয়েছেন। এটাই চেয়েছিলেন মুকুল রায়। আক্রান্ত কর্মীদের নিয়ে গিয়ে রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেছেন। রাজধানীতে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে  সাংবাদিক বৈঠক করেছেন মুকুল রায়। রাজ্য বিজেপির এই ধরনের গতি আগে কমই দেখেছে দিল্লি নেতৃত্ব। বিজেপির অন্দরে জল্পনা, অমিতের প্রিয়পাত্র হয়ে উঠেছেন মুকুল রায়।  এমন অনেক কর্মসূচি তিনি নিচ্ছেন, যার ব্যাপারে জানেনই না দিলীপ ঘোষ। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অনুমোদনেই সেই সব অনুষ্ঠানে থাকছেন মুকুল রায়।    


বিজেপিতে মুকুলের গুরুত্ব কতটা, তা একটা উদাহরণেই স্পষ্ট। বিজেপিতে যোগদানের মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই দিল্লিতে অমিত শাহের সঙ্গে যখন তখন দেখা করতে পারেন মুকুল রায়। যা রাজ্যের অনেক নেতার পক্ষেই সম্ভব নয়। অমিত শাহের নির্দেশেই দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের সামনে ভিডিও পেশ করেছেন মুকুল রায়। নির্বাচনের মনোননয়নপত্র জমা, ভোটগ্রহণ ও গণনার  দিনে অশান্তির ছবি সম্বলিত রয়েছে মুকুলের ওই নথিতে। রাজনৈতিক মহলের মতে, অমিত শাহ-নরেন্দ্র মোদী মনে করছিলেন, তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এমন কোনও তৃণমূলপন্থী নেতাকে দরকার যাঁর দীর্ঘ লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে। এর পাশাপাশি তৃণমূলের অন্দরের খবরও রাখেন। ফলে মুকুলের উপরে বাজি রেখে মোদী-শাহ ভুল করেননি বলেই মত রাজনৈতিক মহলের। বিজেপিতে জল্পনা, শীঘ্রই পঞ্চায়েতের সাফল্যে পদ পেতে চলেছেন মুকুল রায়। রাজ্য, কেন্দ্র না রাজ্য়সভা- কোথায় পদ পাবেন তা ঠিক করবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতিই।   


আরও পড়ুন- তুতিকোরিনে নির্বিচারে গুলিচালনার ঘটনায় পুলিসের পাশে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী