`ক্যাপ্টেন দিলীপে`র নেতৃত্বেই খেলবেন মুকুল
নিজস্ব প্রতিবেদন: 'ভাগ মুকুল ভাগ' থেকে 'আয় মুকুল আয়'-এ বদলে গিয়েছিল অনেক আগেই। তবে ভিতর ভিতর ধিক ধিক আগুন জ্বলছিলই। যার আঁচ অল্প বিস্তর রাজ্যবাসীও পেয়েছে। মুকুল যে কোনও 'কেউকেটা' নয় তা বোঝাতে আগেই আসরে নেমেছিলেন দিলীপ। অপেক্ষা ছিল কেবল মুকুলের পাল্টার! তবে সোমবার কার্যত উল্টো ছবিই দেখল মুরলীধর লেনের বিজেপি রাজ্য দফতর। আসনের দলাদলির বদলে মুকুল সাফ জানালেন দিলীপ ঘোষই তাঁর নেতা। রাজ্যের অধিনায়ক দিলীপ ঘোষের লিডারশিপেই কাজ করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন- নোটবাতিলের দায়িত্ব ছিল ইন্দিরারই: নরেন্দ্র মোদী
সোমবার সকাল থেকেই 'পরের ছেলেকে ঘরে তোলার' তোরজোড় ছিল বিজেপির। বিমানবন্দরে রাজ্য স্তরের সম্পাদকরা কার্যত উৎসব করে ঢাকঢোল পিটিয়ে ৫০টি গাড়ির কনভয়ে মুকুল রায়কে নিয়ে এলেন মুরলীধর লেনের বিজেপি দফতরে। গেরুয়া উত্তরীয় গলায় উঠতেই মুকুল নিজেই বুকে টেনে নেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। এরপরই ঘর ভর্তি সাংবাদিকদের সামনে মুকুল রায় জানিয়ে দেন, "দিল্লিতে আমার ক্যাপ্টেন অমিত শাহ, আর রাজ্যে দিলীপ ঘোষ।" মানসিক প্রস্তুতি নিয়েই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে এসেছেন, যোগ্য নেতার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবেন বলেও মন্তব্য করেন মুকুল রায়। এখানেই না থেমে ক্রিকেটীয় ভাষায় মুকুল রায় বলেন, "আমার ক্যাপ্টেন দিলীপ দা। আমি বাংলায় দিলীপ দা-র লিডারশিপেই কাজ করব।"
মিনিট কয়েকের সাংবাদিক সম্মেলনে নাম না করে প্রাক্তন দল নিয়ে নিন্দাও শোনা গেল মুকুল রায়ের গলায়। বাংলায় আসল পরিবর্তন যে আসেনি সেকথা আরও একবার রাজ্যের নেত্রীর কাছে পৌঁছে দিতে তিনি বলেন, "যে পরিবর্তনের লক্ষ্যে আমরা লড়াই করেছিলাম, তা আসেনি। যারা আসল পরিবর্তন চেয়েছেন, তারা বিজেপি করুন।" এরপরই তৃণমূলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক লড়াই প্রসঙ্গে মুকুল রায় মহাভারত-এর কথা টেনে বলেন, "কৌরব-পাণ্ডবও ভাই ছিল। কিন্তু ধর্ম যুদ্ধে ভাইয়ে ভাইয়েও লড়াই হয়েছে।"
আরও পড়ুন- মুকুলকে 'চাটনি' কটাক্ষ দিলীপের, 'ফালতু লোক' বললেন কেষ্ট
এদিন অমিত শাহ এবং নরেন্দ্র মোদী জুটির প্রশংসায় পঞ্চমুখও হতে দেখা যায় সদ্য বিজেপির জার্সি পরা নেতা মুকুল রায়কে। দেশব্যাপী বিজেপির একাধিপত্যের কথা মনে করিয়ে দিয়ে মুকুল রায় বলেন, "দেশের ১৩টি রাজ্যে এখন বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী রয়েছে। ৬ রাজ্যে রয়েছে বিজেপির উপ মুখ্যমন্ত্রী। আসন্ন হিমাচল প্রদেশ এবং গুজরাট ভোটেও বিপুল জয় হবে ভারতীয় জনতা পার্টির। তারপরই বাংলা, উড়িশাও হবে বিজেপির।" ভারতীয় জনতা পার্টি বাংলায় তার অভীষ্ট লক্ষ্যের খুব কাছে বলেও মন্তব্য করেন মুকুল রায়।