নিজস্ব প্রতিবেদন : পুলিসকর্মীর বাড়িতে 'রহস্যজনক' বিস্ফোরণ। তছনছ গোটা ঘর। অগ্নিদগ্ধ ওই পুলিসকর্মীর স্ত্রী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। এদিকে রান্নাঘরে বিস্ফোরণ হলেও গ্যাস অক্ষত। তবে কী থেকে বিস্ফোরণ ঘটল? তা নিয়ে ধন্দে বাড়ি কর্তা দেবাশিস রায় সহ পুলিসও। ঘটনাটি ঘটেছে কেষ্টপুর হানাপারাতে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কলকাতা পুলিসের ইন্সপেক্টর পদে কর্মরত দেবাশিস রায়। তিনি জানিয়েছেন, শুক্রবার রাত সোয়া ১০টা নাগাদ বিস্ফোরণটি ঘটে। সেইসময় তিনি ও তাঁর শ্যালক দুজনেই ফ্ল্যাটে ছিলেন। ড্রয়িংরুমে বসে টিভি দেখছিলেন। স্ত্রী স্বাতী রায় রান্নাঘরে যান ভাত চাপাতে। তার একটু পরেই বীভৎস আওয়াজে কেঁপে ওঠে ফ্ল্যাট। ছুটে এসে তিনি দেখেন, রান্নাঘরের মেঝেয় অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় পড়ে তাঁর স্ত্রী স্বাতী রায়। পুড়ে গিয়েছে পরে থাকা নাইটি। শরীরের ৯০ থেকে ৯৩ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে।



এদিকে রান্নাঘরের মধ্যে বিস্ফোরণ ঘটলেও অক্ষত রয়েছে গ্যাস থেকে জলের মেশিন। অক্ষত রয়েছে রান্নাঘরে থাকা বাসনপত্র। তবে লন্ডভন্ড ফ্ল্যাটের অন্য ঘরগুলি। বিস্ফোরণের তীব্রতায় ভেঙে পড়েছে ফ্ল্যাটের সব জানলার কাচ। উড়ে গিয়েছে দরজার পাল্লা। প্রতিবেশীরা বলছেন, বিস্ফোরণের বিকট আওয়াজ পান তাঁরা। বাইরে বেরিয়ে এসে তাঁরা দেখেন তছনছ অবস্থা ইনস্পেক্টর দেবাশিস রায়ের ফ্ল্যাটের।



কিন্তু কী থেকে এত তীব্র বিস্ফোরণ ঘটল? তা নিয়েই ধন্দে পড়েছেন বাড়িকর্তা দেবাশিস রায় থেকে পুলিসও। অত্যন্ত দক্ষ পুলিসকর্মী হিসেবে পরিচিত দেবাশিস রায় কলকাতা পুলিসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ থানায় ওসির দায়িত্ব সামলেছেন। কিন্তু, নিজের ফ্ল্যাটে বিস্ফোরণের কারণ কূলকিনারা করতে পারছেন না তিনি। নিজের কর্মজীবনে এমন ঘটনা দ্বিতীয়টি তিনি দেখেননি বলে দাবি করেছেন দেবাশিস রায়।


আরও পড়ুন, 'বুট চেয়েছিল দিতে পারিনি', অতীত মনে করে আবেগে কাঁদছেন চন্দ্রকান্তের মা


তবে এতকিছুর পরেও একটা সন্দেহ দানা বাঁধছে। ঘরে বিস্ফোরণ, অগ্নিদগ্ধ স্ত্রী! অথচ ঘরে থেকেও কিছু জানতে পারলেন না পুলিস ইনস্পেক্টর? প্রশ্ন উঠছে দেবাশিস রায়ের ভূমিকা নিয়েও। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণের কারণ উদ্ঘাটনে ফরেন্সিক ল্যাবরেটরির সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। তদন্ত নেমেছে বাগুইহাটি থানা ও বিধাননগরের কমিশনারেটের পুলিস।