ওয়েব ডেস্ক: ইলেকট্রিক বিল দেখে জেলকর্তাদের মাথায় হাত! শীত এখনও জাঁকিয়ে বসেনি। তার আগেই এত মোটা বিল! দিশেহারা আলিপুর সেন্ট্রাল জেলের কর্তারা। বন্দি সামলানোর থেকেও বিদ্যুত্‍ বিল সামলানো এখন তাঁদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জেলের ভিতর অন্য দুনিয়া। বুদ্ধির জোরে কম যায় না বন্দিরাও। জেল ক্যান্টিনের খাবার কাঁহাতক রোজ রোজ খাওয়া যায়। তাই সপাকে খাওয়ার ব্যবস্থা করে ফেলেছেন আলিপুর সেন্ট্রাল জেলের বন্দিরা। একটা হিটার আর তাতেই কেল্লা ফতে!


যেমন আইডিয়া, তেমন কাজ। অতি সাধারণ অ্যালুমিনিয়ামের থালাবাটি। তার ওপর পুরু করে মাটির প্রলেপ। রক্ষীদের কাউকে ম্যানেজ করে একটা কয়েল জোগাড় করতে যতক্ষণ। ইমপ্রোভাইজড হিটার তৈরি!


হিটার শিল্পের নেতৃত্বে বন্দি সঞ্জয় শেখ। পেশায় ইলেকট্রিসিয়ান ছিলেন। অভিজ্ঞতা কাজে লাগছে গারদের ভেতরেও। হিটার জ্বালানোর কৌশলও অভিনব।


নিরাপত্তার কারণে সেলের ভিতর কোনও প্লাগ পয়েন্ট বা সুইচ বোর্ড থাকে না। আলো আর পাখার পয়েন্ট কাজে লাগিয়ে হিটার জ্বালাচ্ছেন বন্দিরা, জেলের ভিতর যা একেবারেই নিষিদ্ধ। আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে এখন প্রায় শখানেক ইমপ্রোভাইজড হিটার রয়েছে। দাগী আসামী আফতাব আনসারি থেকে গিরীশ পার্ক কাণ্ডের গোপাল তিওয়ারি, গব্বর থেকে খাগড়াগড় কাণ্ডের কুশীলব, হেভিওয়েট বন্দিদের পছন্দ ইমপ্রোভাইজড হিটার। চট করে জল গরম, ডিম ভেজে খাওয়া, চলছে সবই। অন্যদিকে জেলের ইলেকট্রিক বিল বাড়ছে চড়চড়িয়ে।