নিজস্ব প্রতিবেদন: মাঝেরহাট সেতু নির্মাণে দেরি হওয়া নিয়ে আজ তারাতলায় বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের সেই বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে এদিন রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় তারাতলা। পরে সাংবাদিক বৈঠকে মাঝেরহাট সেতুর নির্মাণকার্যে বিলম্ব হওয়ায় একযোগে রেলকে কাঠগড়ায় তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, "৯ মাস যখন রেল যখন অনুমতি দেয়নি, তখন কি বিজেপি ঘুমাচ্ছিল? আমরা এর জন্য পায়ে ধরার মতও করেছি। এই দেরিটা রেলের জন্য হয়েছে। আমাদের জন্য নয়।" অন্য়দিকে পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, "রেলের জন্যই মাজেরহাট ব্রিজ তৈরিতে বিলম্ব হচ্ছে। ব্রিজ ভেঙে পড়ার পর রেলের উপরের অংশের ব্রিজ ভাঙতে সময় লেগেছিল ১৪২ দিন। মাঝেরহাট ব্রিজের জন্য মুখ্যমন্ত্রী দুবার রেলমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন। রেলের অনুমতি পেতে ৯ মাস দেরি হয়েছে। যে পারমিশন দিতে এক ঘণ্টা সময় লাগে তাতে এত সময় লাগল কেন? প্রতি পদে পদে হেনস্থা করেছে।" 


অরূপ বিশ্বাস আরও বলেন, "এই ব্রিজের জন্য বিভিন্ন কারণে রেলকে ৩৩.২৯ কোটি টাকা দিতে হয়েছে রাজ্যকে। ৭০ মিটার ভাঙতে ১০.১ কোটি, সুপারভিসনে ৭.৩০ কোটি, বিয়ারিং চেকিংয়ে ৭০ লাখ, অস্থায়ী বেইলি ব্রিজের জন্য ৭ কোটিরও বেশি রেলকে দিতে হয়েছে। এছাড়া ৭৭ লাখ টাকা পোর্টকে দিতে হয়েছে। এরমধ্যে কোভিডের কারণে ৩ মাস কাজ বন্ধ ছিল। তারপরেও ফিট সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য  ২৪ তারিখ রেলের কাছে আবেদন পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এখনও তা পাইনি।" 


এদিকে রাজ্য সরকার যখন মাঝেরহাট ব্রিজ নিয়ে রেলকে নিশানা করছে, ঠিক তখনই পাল্টা আন্দোলনে নামতে চলেছে তৃণমূল। কেন রেলের অনুমতি দিতে ৯ মাস সময় লাগল? এই ইস্যুতে আজ মাঝেরহাট ব্রিজের সামনে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবে তৃণমূল। উপস্থিত থাকবেন সাংসদ মালা রায়, মেয়র পারিষদ দেবাশিষ কুমার, রত্না সূর প্রমুখ।