নিজস্ব প্রতিবেদন: কাটমানি নিয়ে তাঁর গান কি রাজ্যের শাসক দলকে খোঁচা দিয়ে? সমস্ত জল্পনা উড়িয়ে দিলেন নচিকেতা। জানিয়ে দিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি তাঁর আস্থা কমেনি। গানটা কোনও একটা দলকে নিয়ে নয়। বরং গোটা দেশের কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সততার বার্তা পৌঁছে দিতেই 'কাটমানি' গান বেঁধেছেন।   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লোকসভায় নির্বাচনে দলের একাংশের কাটমানি খাওয়ার জন্য সামাজিক প্রকল্পগুলির সুবিধা পাননি সাধারণ মানুষ। সেই রোষই প্রতিফলিত হয়েছে ইভিএমে। এমনটাই মনে করছেন দলনেত্রী। ইতিমধ্যেই স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, কাটমানির টাকা ফেরত দিতে হবে। অভিযোগ আসলে গ্রেফতার করবে পুলিস। এমন একটা সময়ে 'কাটমানি' গান লিখলেন নচিকেতা। মমতা ঘনিষ্ঠ গায়কের বর্তমান অবস্থান ঘিরে তীব্র হয় জল্পনা। তার উপরে নচিকেতার গানটি ফেসবুকে পোস্ট করে শাসকের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠার জন্য ধন্যবাদ জানান আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়।



কিন্তু বাবুল ভুল বুঝেছে বলে জি ২৪ ঘণ্টায় স্পষ্ট করেছেন গায়ক নিজেই। বুঝিয়ে দিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরে তাঁর বিশ্বাস এখনও অটুট। তিনি বলেন, ''নচিকেতা একই আছে। বাবুল কী মানে বুঝেছে, জানি না। রামকৃষ্ণ মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের দায়িত্ব তো আর রামকৃষ্ণের নয়। আমি এরকম গান অনেক লিখেছি। মমতার সততা দেশের কাছে পৌঁছে দিতে চাইছি।''   



বিরোধীরা অবশ্য নচিকেতার গানে মমতার 'কাটমানি'র ছায়াই দেখতে পাচ্ছেন। হুগলির সাংসদ তথা মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন,''কেউ অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে ভাল লাগে। নচি দাকে শুভেচ্ছা জানাই। বুকে সাহস ও মনের জোর নিয়ে শাসক দলের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে এখন বিজেপি বলা হয়। এটা বোঝাচ্ছে বিজেপি অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মঞ্চ হয়ে উঠেছে। নচি দা দলে আসলে ভাল লাগবে''।     


আরও পড়ুন-