নিজস্ব প্রতিবেদন : মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে নাগেরবাজার বিস্ফোরণের তদন্তভার হাতে নিল সিআইডি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পরই বিস্ফোরণস্থলে পৌঁছে যান সিআইডি ডিআইজি প্রণব কুমার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, তিন দিন পরই ছিল জন্মদিন! নাগেরবাজার বিস্ফোরণে মৃত্যু ৮ বছরের বালকের


পুলিস মনে করছে, যে সকেট বোমাটি গতকাল ফাটে সেটি সাধারণ সকেট বোমার চেয়ে বড় ছিল। বিস্ফোরণ ঘটাতে ব্যবহার করা হয় অ্যামেনিয়াম নাইট্রেট এবং গাঢ় অ্যাসিড। সকেট বোমার নীচের ক্যাপ ছিল শক্তভাবে আটকানো, উপরের ক্যাপ ছিল তুলনায় হাল্কা। বোমার উপরের ক্যাপ হাল্কা থাকায় উপরের দিকে বিস্ফোরণের অভিঘাত বেশি হয়। নীচে সিমেন্টের ওপর তৈরি হয় গর্ত। এমনই মনে করছে পুলিস। তদন্তকারীদের মতে বিস্ফোরণের আগের মুহূর্তে বোমাটি স্থির অবস্থায়
ছিল। অন্য কোথাও থেকে বোমা আনা হতে পারে বলেও মনে করছে পুলিস। মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, মালদায় রাজনৈতিক সংঘর্ষে এই ধরনের বোমা ব্যবহার করা হয়। তবে,শহরে বিস্ফোরণ বলেই তার অভিঘাত বেশিমাত্রায় অনূভূত হয়েছে বলে মনে করছে পুলিস।


আরও পড়ুন, মেডিক্যালের আগুনে রোগীদের বাঁচাতে ঝাঁপালেন ক্যান্সার আক্রান্তের বাবা


বিস্ফোরণস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে সকেট বোমার ক্যাপ ও পাইপ।  পুলিস সূত্রে খবর, পাইপটির ব্যাস সাধারণ সকেট বোমার চেয়ে বেশি। স্প্লিন্টার হিসাবে ছাঁট লোহা, জালকাঠি, পেরেক ও ছোট ছোট বল ব্যবহার করা হয়। সূত্রের খবর, ঘটনাস্থলে বারুদের উপস্থিতি মেলেনি। ঘটনাস্থলে কোনও তার পাওয়া যায়নি। মেলেনি সুইচ জাতীয় কোনও কিছু। এদিকে, বিস্ফোরণের ফলে পাইপ ফেটে গিয়েছে। সেই ফাটা অংশ দিয়ে চুঁইয়ে চুঁইয়ে জল পড়ে ভরে গিয়েছে সকেট বোমার বিস্ফোরণে তৈরি হওয়া গর্ত।


আরও পড়ুন, অক্সিজেন নেই! সাংবাদিককে দেখেই অসহায় আর্তি, "বাবা, কষ্ট হচ্ছে খুব"


আজ বেলা পৌনে বারোটা নাগাদ ঘটনাস্থল ঘিরে দেয় পুলিস। যদিও গতকালই পুরসভার সাফাইকর্মীরা বিস্ফোরণস্থল সাফ করে দেন। তারপর রাতভর জায়গাটি অরক্ষিতই ছিল। ফলে, এত দেরিতে ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলে লাভ কী, উঠছে সে প্রশ্ন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্তভার হাতে নেওয়ার পর আজ বেলায় ঘটনাস্থলে যান সিআইডি অফিসাররা। নমুনা সংগ্রহ করেন। কিন্তু, বিস্ফোরণস্থল প্রায় চব্বিশ ঘণ্টা অরক্ষিত থাকার পর এখন আর কোনও তথ্যপ্রমাণ মেলা আদৌ সম্ভব কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই।