নিজস্ব প্রতিবেদন: সকেট বোমা ফেটেই বিস্ফোরণ হয়েছে নাগেরবাজারে। প্রাথমিক তদন্তের পর জানাল পুলিস। সকেট বোমা ফেটে বিস্ফোরণের কথা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন পুলিস কমিশনারও। প্রসঙ্গত, সিলিন্ডার নয়, মঙ্গলবার সকালে অন্য কোন জিনিসে বিস্ফোরণ হয়েছে নাগেরবাজারে। এটা নিশ্চিত করলেও, কী থেকে বিস্ফোরণ তা ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরেও প্রথমে জানাতে পারেনি ব্যারাকপুরের পুলিস। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মঙ্গলবার সকালে দমদম নাগেরবাজার বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে। দক্ষিণ দমদম পুরসভার পুরপ্রধান পাঁচু রায়ের দফতরের সামনে বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। প্রাথমিক ভাবে একে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়েছে বলে মনে করেন অনেকে। সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়েছে বলে দাবি করেন বিধায়ক সুজিত বসু। দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান পাচু রায় পালটা দাবি করেন, তাঁকে খুনের উদ্দেশেই ফাটানো হয়েছে বোমা। 


গান্ধীজয়ন্তীর সকালে দমদমে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, স্থানীয়দের দাবি আহত ১২


বেলা ১২টার কিছু পর ঘটনাস্থলে পৌঁছন ব্যারাকপুরের পুলিস কমিশনার। তিনি বলেন, বেশ বড়সড় বিস্ফোরণ হয়েছে। আসেপাশের বাড়ির কাচ ভেঙে গিয়েছে। তবে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের কোনও প্রমাণ মেলেনি। ঘটনাস্থল থেকে মেলেনি সিলিন্ডারের অংশ। এমনকী বারুদ থেকে বিস্ফোরণ বলেও মনে হয় না। কারণ গান পাউডারের কোনও গন্ধ নেই। তাই কী থেকে বিস্ফোরণ তা এখনো স্পষ্ট নয়।


পুলিস কমিশনার জানিয়েছেন, ঘটনায় মোট ১০ জন আহত হয়েছেন। তার মধ্যে ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনাস্থলে একটা ব্যাগ মিলেছে। তবে ব্যাগ থেকে সন্দেহজনক কিছু মেলেনি।  


পুলিস সুপারের দাবি অবশ্য মানতে চাননি যে বাড়ির সামনে বিস্ফোরণ হয়েছে তার মালিক। তিনি বলেন, ব্যাগেই বিস্ফোরক ছিল। বিস্ফোরণের পর আমি সেখানে পৌঁছে দেখি একটা শক্তপোক্ত আধপোড়া চটের ব্যাগ পড়ে রয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে টিফিন কৌটোর মতো কোনও জিনিস। রয়েছে প্রচুর জালকাঠি। চারিদিকে ছড়িয়ে রয়েছে সাদা গুঁড়োর মতো কোনও জিনিস। চেয়ারম্যান এসে ব্যাগটি পুলিসকে দেখান।


শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বোম্ব স্কোয়াড। খতিয়ে দেখা হচ্ছে পড়ে থাকা যাবতীয় সামগ্রী। তা থেকে নমুনা সংগ্রহ করছেন তাঁরা।