নিজস্ব প্রতিবেদন : সিবিআই কর্তা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরই নাগেশ্বর রাওয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল পারিবারিক সম্পত্তির যে খতিয়ান তিনি দিয়েছেন, তাতে বিস্তর গরমিল রয়েছে। এই ঘটনায় একেবারে সরাসরি রয়েছে কলকাতা যোগ। অভিযোগ, সল্টলেকের একটি ভুয়ো সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে জমি কেনেন নাগেশ্বরের স্ত্রী। কিন্তু সল্টলেকের সেই ঠিকানায় গিয়ে দেখা যায় সেখানে কোনও কোম্পানির অস্তিত্ব-ই নেই। বাড়ি মালিক প্রবীণ আগরওয়ালও সেখানে থাকেন না। নাগেশ্বর রাও অবশ্য অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সংবাদমাধ্যম সূত্রে সামনে আসে একটি অভিযোগ। যেখানে দাবি করা হয়েছে, সিবিআইয়ের অন্তর্বর্তী ডিরেক্টর এম নাগেশ্বর রাওয়ের দেওয়া পারিবারিক আয়, সম্পত্তি খতিয়ানে গরমিল রয়েছে। অভিযোগ ওঠে সল্টলেকে সিএ ব্লকের ভুয়ো সংস্থা অ্যাঞ্জেলা মার্কেন্টাইলে লগ্নি করেন নাগেশ্বরের স্ত্রী এম সন্ধ্যা। আরওসি-র তথ্য অনুযায়ী ২০১১ থেকে ২০১৪-র মধ্যে অ্যাঞ্জেলকে তিন দফায় ১ কোটি ১৪ লক্ষ টাকা দেন তিনি। ২০১১ সালে অ্যাঞ্জেলার কাছ থেকেই ঋণ দেখিয়ে ২৫ লক্ষ টাকায় অন্ধ্রের গুণ্টুরে একটি জমি কেনেন নাগেশ্বরের স্ত্রী।


আরও পড়ুন, দোতলা চপের দোকান! মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে আশায় বুক বাঁধছে ডুয়ার্সের দম্পতি


সল্টলেকে ঠিকানা সিএ ৩৯। এই ঠিকানাতেই নাকি রয়েছে অ্যাঞ্জেলা মার্কেন্টাইল নামে একটি বেসরকারি সংস্থার অফিস। নথি তেমনই বলছে। কিন্তু সেই ঠিকানায় গিয়ে কোনও সংস্থার অস্তিত্ব মেলেনি। কারোরই দেখা মেলেনি। ২০১১-র ১৩ই সেপ্টেম্বরের তথ্য বলছে, নাগেশ্বর রাওয়ের স্ত্রী অ্যাঞ্জেলা মার্কেন্টাইলের ১০০টি শেয়ারের মালিক। বাসিন্দা না হলেও কেন তিনি সল্টলেকের এই বাড়ির ঠিকানা দিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।


আরও পড়ুন, চাঁদা তুলছিল যুবক, লরি নিয়ে ধেয়ে এসে 'খুন'! ভয়ঙ্কর এঘটনা হার মানাবে সিনেমাকে


যদিও, সব অভিযোগ উড়িয়ে নতুন সিবিআই কর্তার দাবি,অ্যাঞ্জেলার কাছ থেকে ২৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে গুণ্টুরে জমি কেনেন তাঁর স্ত্রী। পরে পারিবারিক জমি বেচে ৫৮ লক্ষ টাকা পান তাঁর স্ত্রী সন্ধ্যা। জমি বেচার টাকা ও নিজের সঞ্চয় থেকে ২০১১ সালে অ্যাঞ্জেলাকে ৬০ লক্ষ টাকা দেন সন্ধ্যা। পাওনা ২৫ লক্ষ টাকা কেটে নিয়ে বাকি টাকা লগ্নি করে সল্টলেকের ওই সংস্থা। ২০১৪ সালে অ্যাঞ্জেলা, সুদ সমেত ৪১ লক্ষ টাকা সন্ধ্যাকে ফিরিয়ে দেয়। নতুন সিবিআই কর্তা আত্মপক্ষ সমর্থনে বিবৃতি দিলেও বহু প্রশ্নের উত্তর এখনও ধোঁয়াশা।