নিজস্ব প্রতিবেদন: নারদকাণ্ডে আইপিএস অফিসার এসএমএইচ মির্জাকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। নারদ স্টিং অপারেশনে দুর্নীতির তদন্তে এই প্রথম কাউকে গ্রেফতার করা হল। নারদ টেপ ফাঁসের ৩ বছর পর সিবিআই-এর পদক্ষেপকে স্বাগত জানালেন নারদকর্তা ম্যাথু স্যামুয়েল। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ধন্যবাদ জানিয়ে স্যামুয়েলের মন্তব্য, এটা অত্যন্ত ইতিবাচক পদক্ষেপ। লড়াই সবে শুরু হয়েছে।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জি ২৪ ঘণ্টাকে ফোনে নারদকর্তা বলেন, ''সিবিআইয়ের পদক্ষেপকে স্বাগত জানাচ্ছি। শেষপর্যন্ত নারদাকাণ্ডে গ্রেফতারি শুরু করেছে সিবিআই। এই ধরনের দুর্নীতিতে জড়িত আমলারা। তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা দরকার। সেই প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় ইতিবাচক বার্তা দিল সিবিআই। সকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।''  



২০১৬ সালে বিধানসভা ভোটের আগে প্রকাশিত হয়েছিল নারদ স্টিংকাণ্ডের ভিডিয়ো। শাসক দলের একাধিক নেতা-মন্ত্রীকে গোপন ক্যামেরার সামনে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল। ওই ভিডিয়োয় বর্ধমানের তত্কালীন পুলিস সুপার এসএমএইচ মির্জাকে ৫ লক্ষ দিয়েছিলেন নারদকর্তা। তখন ম্যাথু স্যামুয়েলের সঙ্গে বিজেপির যোগ থাকার অভিযোগ করেছিল রাজ্যে শাসক দল। নারদ স্টিংকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র আখ্যা দেওয়া হয়েছিল। সে কথা স্মরণ করিয়ে এদিন স্যামুয়েল বলেন,''আজ খুশির দিন। ২০১৬ সালে মার্চে স্টিংয়ের টেপ প্রকাশ করেছিলাম। তখন বলা হয়েছিল, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র, কেউ ওঁর পিছনে আছে। বাংলার পুলিসই পিছনে পড়ে গিয়েছিল। এটা কঠোর পরিশ্রমের ফল। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা হলে আজ এই দিনটা আসত না। আইপিএস অফিসারকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। বাংলার বড় বড় রাজনীতিকদের সঙ্গে দেখা করিয়ে দিয়েছিলেন উনি।''


সামনে কঠিন লড়াই রয়েছে বলেও মনে করেন নারদকর্তা। তাঁর কথায়,''এটা সবে শুরু হয়েছে। লড়াই চলতে থাকবে।''  


বলে রাখি, নারদাকাণ্ডে ১৩ জন অভিযুক্তের নাম রয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে মির্জাই একমাত্র সরকারি আমলা। তাঁকে মোট ৭ বার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছিল সিবিআই। আজ, বৃহস্পতিবার অষ্টম দফায় তাঁকে নিজাম প্যালেসে ডাকা হয়। মির্জার জবাবে সন্তুষ্ট হননি তদন্তকারীরা। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। মির্জাকে ৫ দিনের হেফাজতে চেয়েছিল সিবিআই। সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে বিশেষ সিবিআই আদালত।


আরও পড়ুন- রাজীব কুমারকে ধরতে ‘ব্যর্থ’, ৭ দিন পর UP- দিল্লির বিশেষ দলকে ফিরিয়ে নিল CBI