নিজস্ব প্রতিবেদন: নারদা মামলায় সাতসকালেই বাড়ি থেকে তুলে আনা হয় ফিরহাদ হাকিমকে। এনিয়ে তুলকালাম হয় চেতলা। পাশাপাশি তুলে আনা হয় মদন মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায়কেও। বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় ফিরহাদ জানান, নারদা মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। কিন্তু আগে থেকে কোনও অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট জারি করা হয়নি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-আক্রান্তের চেয়ে সুস্থতার হার অনেক বেশি, তবে ভয় পাওয়াচ্ছে মৃত্যু সংখ্যা


এদিকে কোনও রকম নোটিস, অ্যারেস্ট  ওয়ারেন্ট ছাড়াই কীভাবে গ্রেফতার তা নিয়ে সরব হয় বিভিন্ন মহল। শেষপর্যন্ত এনিয়ে বিবৃতি দিল কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা(CBI)। সিবিআইয়ের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদিকে, ওই মামলায় আইপিএস  এসএমএইচ মির্জাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি এখন জামিনে মুক্ত।




কেন গ্রেফতার?  CBI এর মুখপাত্র আর সি যোশী বলেন, নারদা স্টিং অপারেশনে ওইসব ব্যক্তিকে সরাসরি টাকা নিতে দেখা গিয়েছে।  ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ফিরহাদ হাকিম ৫ লাখ টাকা ঘুষ নিতে সম্মত হয়েছেন।  অন্যদিকে, সুব্রত মুখোপাধ্যায় ৫ লাখ, মদন মিত্রকে ৫ লাখ ও  শোভন চট্টোপাধ্যায়কে ৪ লাখ টাকা নিতে দেখা গিয়েছে।


আরও পড়ুন-সব জেনেও কেন আগাম ব্যবস্থা নেওয়া হল না? মোদির কমিটি থেকে পদত্যাগ ভাইরোলজিস্টের


উল্লেখ্য, কীভাবে কোনও অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট ও স্পিকারের অনুমতি ছাড়াই কোনও মন্ত্রী বা বিধায়ককে গ্রেফতার করা যায় তা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় রাজ্য রাজনীতিতে। ফিরহাদের গ্রেফতারের খবর শুনেই নিজাম প্যালেসে চলে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। সোজা উঠে যান ১৪ তলায় সিবিআইয়ের জিআইজির ঘরের সামনে। সেখানেই চেয়ার নিয়ে বসে পড়েন। তাঁর দাবি, এভাবে যদি রাজ্যের বিধায়ক মন্ত্রীদের গ্রেফতার করা হয় তাহলে আমাকেও গ্রেফতার করুক সিবিআই।