নিজস্ব প্রতিবেদন: নারদ মামলায় ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও শোভন চট্টোপাধ্যায় আজ জামিন পাবেন কিনা তা নিয়েও কলকাতা হাইকোর্টে চলছে সওয়াল জবাব। সিবিআইয়ের তরফে কেন্দ্রের সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা সওয়াল করতে উঠে বলেন, অভিযুক্তদের গ্রেফতারের পর যে ঘটনা ঘটেছিল তা কার্যত নজিরবিহীন। দেশের ইতিহাসে এমনটা হয়নি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-স্থিতিশীল মীরা, হাসপাতালে ভর্তি হতে আপত্তি বুদ্ধদেবের, করোনা আক্রান্ত নন সুচেতনা


কেন এই  মামলা অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া উচিত তার পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে তুষার মেহতা বলেন, ফিরহাদ হাকিমকে বাড়ি থেকে আনতে গিয়ে সিবিআইকে প্রবল বাধার সম্মুখীন হতে হয়। সিবিআই দফতরে তাদের নিয়ে আসার পরও প্রচুর তৃণমূল সমর্থক ও দুষ্কৃতী সেখানে জড়ো হন। সিবিআই দফতরে হাজির হয়ে যান খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিস্থিতি এমন তৈরি হয়ে যায় যে অভিযুক্তদের সশরীরে আদালতে নিয়ে যাওয়া বা তাদের মেডিক্যাল পরীক্ষা করতে নিয়ে যাওয়াও সম্ভব হয়নি। ভার্চুয়ালি হোয়ারিং হয়েছিল। নিম্ন আদালতেও প্রবল চাপের মুখে সিবিআইকে পড়তে হয়।


অন্যদিকে, ৪ অভিযুক্তের পক্ষে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি বলেন, হাঁ, এরকম একটা ঘটনা হয়েছিল। কিন্তু এরকম ঘটনা প্রথম ঘটল। তবে যেভাবে ৩ তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ককে তুলে আনা হয়েছে তা একেবারে নজিরবিহীন। নিম্ন আদালতে জামিন পাওয়ার পর অভিযুক্তদের কিছু না জানিয়েই হাইকোর্টে একটি পিটিশন ফাইল হল। অন্যদিকে, সিদ্ধার্থ লুথরা বলেন, নিম্ন আদালতে জামিনের পরই আইনশৃঙ্খলার অবনতির প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টে পিটিশন করে সিবিআই। নিম্ন আদালতে জামিন দেওয়া না হলে হাইকোর্টে পিটিশন করত না সিবিআই। অর্থাত্ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবেই হাইকোর্টে পিটিশন করেছে কেন্দ্রীয় গোয়ন্দা সংস্থা।


আরও পড়ুন-নারদ স্থানান্তর মামলায় মুখ্যমন্ত্রীর নাম যুক্ত করল CBI, পার্টি করা হল কল্যাণ-মলয়কে


উল্লেখ্য, নারদ মামলায় গ্রেফতার ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্য়ায় ও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের পক্ষে সওয়াল করছেন অভিষেক মনু সিংভি ও সিদ্ধার্থ লুথরা। অন্যদিকে, সিবিআইয়ের পক্ষে সওয়াল করছেন বিশিষ্ট আইনজীবী তুষার মেহতা ও ওয়াই জে দস্তুর।