নিজস্ব প্রতিবেদন: নারদ মামলায় ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতারের পর নিজাম প্যালেসে যা হয়েছে তা নজিরবিহীন। নারদ মামলায় ওই ৪ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে এমনটাই সওয়াল করলেন সিবিআইয়ের আইনজীবী তুষার মেহতা। পাল্টা সওয়াল করলেন অভিষেক মনু সিংভি ও সিদ্ধার্থ লুথরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-অভিযুক্তদের গ্রেফতার পরবর্তী পরিস্থিতি দেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন, নারদ মামলায় সওয়াল CBI-এর  


অভিষেক মনু সিংভি বলেন, সেদিন সিবিআই দফতরের(Nizam Palace) বাইরের বিক্ষোভকে যেভাবে দেখানো হচ্ছে তা ঠিক নয়। এমন পরিস্থিতি দেশে এই প্রথমও হল না।  এভাবে বিক্ষোভ দেখানো অবশ্য ঠিক নয়। গত পাঁচ বছরে এই মামলা নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করেনি সিবিআই। এতদিনে মনে পড়ল? ওইদিন কোভিড বিধি মানা হয়নি। কিন্তু তাকে যুক্তি হিসেবে খাড়া করে মামলা অন্য রাজ্যে নিয়ে যাওয়া ঠিক নয়। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বয়স ৭৫ বছরের বেশি। টানা ৪৫ বছর ধরে তিনি বিধায়ক। সুপ্রিম কোর্টের নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে আটকে রাখা যায় না। 


অভিযুক্তদের পক্ষে সিংভি আরও বলেন, নিজাম প্যালেসে সেদিনের পরিস্থিতি নজিরবিহীন বলছে সিবিআই। পাশপাশি ফিরহাদ হাকিম(Firhad Hakim) সহ ৩ তৃণমূল বিধায়ককে যেভাবে বিনা নোটিসে তুলে আনা হয়েছে তাও নজিরবিহীন। এমনকি নিম্ন আদালতে জামিন পাওয়ার পরও অভিযুক্তদের না জানিয়ে হাইকোর্টে জামিন নাকচের পিটিশন করা হল। এটাও নজিরবিহীন। সবে মিলিয়ে নানা কৌশলে অভিযুক্তদের জেলে ঢোকাতে চাইছে সিবিআই।


আরও পড়ুন-Cyclone Tauktae-এর তাণ্ডবে বিধ্বস্ত গুজরাত-দিউ, আকাশপথে পরিদর্শনে মোদী


অন্যদিকে, অভিযুক্তদের দ্বিতীয় আইনজীবী সিদ্ধার্থ লুথরা বলেন, নিম্ন আদালতে জামিনের পরই আইনশৃঙ্খলার অবনতির প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টে পিটিশন করে সিবিআই। নিম্ন আদালতে জামিন দেওয়া না হলে হাইকোর্টে পিটিশন করত না সিবিআই। অর্থাত্ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবেই হাইকোর্টে পিটিশন করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।