নিজস্ব প্রতিবেদন:  ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব পড়েনি কলকাতায়। সেকারণেই সিদ্ধান্ত বদল। দ্বিতীয় দফায় ফের নারদ মামলার শুনানি হল হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে। তবে, এবারও জামিন পেলেন না ৪ হেভিওয়েট নেতা। এই মামলায় রাজ্যকে পক্ষ করার অনুমতি দিল আদালত। আগামিকাল অর্থাত্‍ শুক্রবার ফের শুনানি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সোমবার প্রথমবার নারদ মামলা শুনানি হয়েছিল হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে। সেই শুনানির আগে মাঝ-রাতে বৃহত্তর গঠন নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে সিবিআই। বস্তুত, হাইকোর্টে শুনানি মুলতুবি রাখার আর্জি  জানান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আইনজীবী। কিন্তু সেই আর্জি খারিজ করে করে দেয় পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ। পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা ছিল বুধবার।


আরও পড়ুন: Yaas-এ ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ৩ জুন থেকে শুরু 'দুয়ারে ত্রাণ' পরিষেবা: Mamata


মঙ্গলবার হাইকোর্টের তরফে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে মামলার শুনানি সম্ভব নয়। ২৭ মে পর বিজ্ঞপ্তি জারি করে পরবর্তী তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে। শেষপর্যন্ত ঘুর্ণিঝড়ে কোনও প্রভাবই পড়ল না কলকাতায়। বুধবার রাতে ফের বিজ্ঞপ্তি জারি করে হাইকোর্ট। জানানো হয়, বৃহস্পতিবার অর্থাত্‍ আজই দ্বিতীয় দফায় নারদা মামলার শুনানি হবে বৃহত্তর বেঞ্চে। দুপুরে প্রায় ঘণ্টা দেড়েক সওয়াল-জবাব চলল আদালতে। 


আরও পড়ুন: ইয়াসে রাজ্যের প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১৫ হাজার কোটি টাকার: Mamata


নারদা মামলায় চার হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তাহলে এই মামলা রাজ্য পক্ষ বা পার্টি কেন করা হল? এদিন শুনানিতে সে প্রশ্ন তোলেন অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত। বলেন, 'নারদকাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টে পার্টি করেছিল সিবিআই। তাহলে হাইকোর্টেও রাজ্য পার্টি করতে সমস্যা কোথায়'!  সেই আবেদন মঞ্জুর করে হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ। পাশাপাশি, বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মজুমদারের মন্তব্য, 'এই মামলা কোনও সাধারণ মামলা নয়'।  কে কোন বিষয়ে সওয়াল করতে চায়, তা সবপক্ষকেই লিখিত আকারে জানানো নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শুক্রবার দুপুর বারোটা ফের শুনানি।