নিজস্ব প্রতিবেদন: নারদাকাণ্ডে (Narada Scam) তৃণমূলের ৩ বিধায়ক ও প্রাক্তন নেতার গ্রেফতারির পর সিবিআই-র বিরুদ্ধে উঠেছে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) ও মুকুলকে (Mukul Roy) কেন গ্রেফতার করা হল না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল নেতারা। সিবিআই সূত্র উদ্ধৃত করে সর্বভারতীয় সংস্থার দাবি, ৪ সাংসদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রক্রিয়া চালানোর জন্য লোকসভার অধ্যক্ষের অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে তারা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


সিবিআই আধিকারিককে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), সৌগত রায় (Sougata Roy), প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় (Prasun Banerjee) ও কাকলি ঘোষ দস্তিদারের (Kakali Ghosh Dastidar) বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য স্পিকারের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। এখনও সেই অনুমতি মেলেনি। তবে এই তালিকায় নেই মুকুল রায়ের নাম। ২০১৭ সালে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। 


নারদকাণ্ডে সোমবার ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে সিবিআই। তার পরই তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ প্রশ্ন তোলেন, কেন মুকুল (Mukul Roy) ও শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari) ছাড় দেওয়া হল? নিম্ন আদালতে জামিনের শুনানিতে মুকুল রায়ের প্রসঙ্গ তুলেছিলেন আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। সিবিআই চার্জশিটে অবশ্য শুভেন্দু ও মুকুল দুজনের নামই রয়েছে। 'সিবিআই বনাম মুকুল রায় ও অন্যান্যরা' শীর্ষক চার্জশিটে বলা হয়েছে, বাকি অভিযুক্ত মুকুল রায়, অপরূপা পোদ্দার, শুভেন্দু অধিকারী, সৌগত রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় ও ইকবাল আহমদের বিরুদ্ধে তদন্ত জারি রয়েছে। 



কিন্তু কেন স্পিকারের অনুমতি দরকার? ২০১৬ সালে নারদকাণ্ডের (Narada Scam) সময় শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ছিলেন লোকসভার সাংসদ। মুকুল রাজ্যসভার। ফলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে গেলে স্পিকারের অনুমতি দরকার। যদিও আইনজ্ঞরা বলছেন, ফৌজদারি অপরাধে গ্রেফতারির জন্য স্পিকারের অনুমতির দরকার পড়ে না। চিঠি দিয়ে অবগত করলেই যথেষ্ট। এটা নিছক রীতি। 


আরও পড়ুন- নারদকাণ্ডে সিবিআই চার্জশিটের শিরোনামেই BJP নেতা Mukul Roy