নিজস্ব প্রতিবেদন: চলছে টানটান সওয়াল-জবাব। ফিরহাদদের অন্তর্বর্তী জামিন পাইয়ে দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। সেই সময় সিবিআই আইনজীবীর বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠেন তৃণমূল সাংসদ। অভিযোগ করেন, তাঁকে কথা বলতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। আরও একবার বাধা দেন। তার খানিকক্ষণ পরই কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে রসগোল্ল খেতে চান সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তাঁকে স্বাগত জানান তৃণমূল সাংসদ। আর এনিয়ে ঠাট্টা তামাশা ভার্চুয়াল আদালতকক্ষে।     


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 


সিবিআইয়ের মামলা সন্ধেয় আদালতে শুনানি হতে পারলে আজই বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করা হোক। দাবি করেন আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। তাতে আপত্তি তোলেন সলিসিটর জেনারেলন তুষার মেহতা। দৃশ্যত বিরক্ত তৃণমূল সাংসদ তখন বলেন,''ওঁর কথার বলার সময়ে বাধা দিইনি। সলিসিটর জেনারেল পদে আছেন বলেই কি বাধা দিতে পারেন? আমি কি নিজের কথা বলব না?'' আরও একবার তুষার বাধা দিলে কল্যাণ বলেন,''শুধু সলিসিটর জেনারেলই কি বলতে পারবেন? আমাকে আটকে দিয়েছিলেন রেজিস্ট্রি।'' 


তখনই হেসে তুষার মেহতা (Tushar Mehta) বলেন,''মুখ বন্ধ করা হয়নি। 'মিউটেড' শব্দের (কোভিড) এখন ভিন্ন অর্থ রয়েছে। আপনি ভাইরাস নন।'' পরে তিনি বলেন, ''আমরা ভালো বন্ধু (সিঙ্ঘভি)। মজার ছলে বলেছি।'' হালকা চালে সিঙ্ঘভি এরপর বলেন,'দুপক্ষই রায়ে অসন্তুষ্ট হলে আদালত সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে একটা প্রচলিত ধারণা রয়েছে।''        


আইনজীবীদের হাসাহাসি উপভোগ করেছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল। তিনি বলেন,''নিজের মক্কেলের জন্য একটু আবেগপ্রবণ হয়ে উঠেছেন বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়।''  


ধৃতদের আইনজীবী লুথরা বলেন,''আদালত চললে আমরা এক কাপ চা বা কফি খেতে পারতাম।'' তাঁর কথা লুফে নেন সলিসিটর জেনারেল। প্রস্তাব দেন, ''শুধু চা বা কফি নয়। বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়কে বলব, কলকাতার রসগোল্লা বা কুলচা খাওয়ান।''


তুষার মেহতা, অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি ও লুথরাকে কলকাতায় আমন্ত্রণ জানান কল্যাণ। সিঙ্ঘভি মজা করে বলেন, সলিসিটর জেনারেলকে আবার গ্রেফতার করিয়ে দেবেন না যেন! হো হো করে হেসে ওঠেন সকলে।          


আরও পড়ুন- 'গৃহবন্দি' ফিরহাদদের বাড়ির বাইরে সিসিটিভি ক্যামেরা বসাচ্ছে সিবিআই