ব্যস্ত থাকায় আজ হাজিরা দিতে পারবেন না, CBI-কে চিঠি দিয়ে জানালেন মুকুল রায়
আগামী ২ তারিখ পর্যন্ত সিবিআই-এর কাছে সময় চেয়ে নিয়েছেন তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আজ হাজিরা দিতে পারবেন না মুকুল রায়। সিবিআইকে চিঠি দিয়ে সেকথা জানিয়ে দিলেন বিজেপিনেতা। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, শুক্রবার জেপি নাড্ডা আসায় ব্যস্ত থাকবেন। আগামী ২ তারিখ পর্যন্ত সিবিআই-এর কাছে সময় চেয়ে নিয়েছেন তিনি। যদিও সিবিআই-এর তরফে মুকুল রায়কে আগামিকাল অর্থাত্ শনিবারই হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২ তারিখ পর্যন্ত সময় দিতে নারাজ সিবিআই। মুকুল রায়ের পিএ-এর হাত দিয়েই পাল্টা নোটিস দিয়ে সেকথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তদন্তকারীরা।
সূত্রের খবর, ধৃত আইপিএস মির্জার মুখোমুখি বসিয়ে মুকুলকে জেরা করতে চায় সিবিআই। আর তার সঙ্গে চালানো হবে নারদের স্টিং ভিডিয়ো। নারদের একটি অংশে কোটি টাকার লেনদেনের প্রসঙ্গ রয়েছে। ওই অংশটি চালিয়েই জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই। তবে মির্জার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেননি মুকুল রায়। এ নিয়ে তাঁর সাফাই, “ওঁরা ব্যবসার জন্য এসেছিলেন। আমি তখন মির্জার সঙ্গে দেখা করতে বলি। কোনও টাকা লেনদেনের কথা বলিনি।”
রাজনীতিকদের ছেড়ে আমলাদের টার্গেট,মমতার সঙ্গে দর কষাকষি করতে চাইছে বিজেপি: সেলিম
কিন্তু ব্যবসার জন্য পুলিস সুপারের কাছে পাঠালেন কেন? মুকুল রায়ের ব্যাখ্যা, "ওঁরা বর্ধমানে ব্যবসা করতে চেয়েছিলেন। জমি জায়গা পেতে গেলে পুলিস সুপারদের লাগে।''
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার নারদাকাণ্ডে প্রথম গ্রেফতার করা হয় আইপিএস আধিকারিক সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জাকে।২০১৪ সালে বর্ধমানের পুলিস সুপার থাকাকালীন রাজ্যের শাসকদলের নেতাদের হয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে।
সূত্রের খবর, মির্জার থেকেই জট খুলতে শুরু করবে এই রহস্যের। ম্যাথু স্যামুয়েলের স্টিং অপারেশনের ফুটেজের সূত্র ধরেই এগোতে চাইছেন সিবিআই আধিকারিকরা। আর সেখানেই লুকিয়ে রয়েছে মির্জার গ্রেফতারির কারণ। ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ম্যাথুর উল্টোদিকে বসে রয়েছেন এই সরকারি আধিকারিক। এবং ম্যাথুর সঙ্গে টাকাপয়সা নিয়ে কথা বলার সময়েই তাঁর ফোনে এক ব্যক্তি ফোন করেন। টাকা কোথায় পাঠানো হবে, ওই ব্যক্তিই মির্জাকে নির্দেশ দেন। এবং ওই ফোনটি পাওয়ার পর মির্জা আরও বেশ কয়েকটি ফোন করেন। ফোনে তিনি এক জনকে কত টাকা কোথায় পাঠানো হবে, তা নির্দেশ দেন।
সিবিআই আধিকারিকদের প্রশ্ন ছিল, মির্জাকে কে ফোন করেছিলেন? এবং ওই ফোনটি পাওয়ার পর মির্জা কাকে বা কাদেরকে ফোন করেছিলেন টাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য? কিন্তু এদিনের জেরায় সেসব প্রশ্নের উত্তর দেননি মির্জা। তাঁর কথাতেও একাধিক অসঙ্গতি মিলেছিল। তাই তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে এসব প্রশ্নের উত্তর পেতে চান সিবিআই আধিকারিকরা।