নিজস্ব প্রতিবেদন: নারদাকাণ্ডে ফের তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। গ্রেফতার ২ হেভিওয়েট মন্ত্রী-সহ ৪ নেতা। ৬ ঘণ্টা নিজাম প্যালেসে সিবিআই দপ্তরে ছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। জেলায় জেলায় বিক্ষোভ তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের। টানটান নাটকে অবশেষে যবনিকা পড়ল। ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্য়ায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিল CBI-র বিশেষ আদালত। খারিজ হয়ে গেল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আবেদন।   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 ২০১৬ সালে নারদা স্টিং অপারেশন ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল বঙ্গ রাজনীতিতে। রাতারাতি খবর শিরোনামে উঠে এসেছিলেন ম্যাথু স্যামুয়েল। গোপন ক্যামেরায় ঘুষ নিতে দেখা গিয়েছিল প্রাক্তন তৃণমূল নেতা, এখন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সুলতান আহমেদ, সৌগত রায়, শুভেন্দু অধিকারী, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, শোভন চট্টোপাধ্যায়, মদন মিত্র, ইকবাল আহমেদ, ফিরহাদ হাকিম, পুলিশ আধিকারিক এমএইচ আহমেদ মির্জাকে। এরপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে গিয়েছে।


আরও পড়ুন: চার্জশিট পেশের অনুমোদন দিয়ে ঠিকই করেছেন রাজ্যপাল: বিকাশ ভট্টাচার্য


এদিন সকালে আচমকাই বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও মদন মিত্রকে গ্রেফতার করে সিবিআই। রেহাই পাননি কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ও। খবর পেয়ে সটান নিজাম প্যালেসে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী। ততক্ষণে সিবিআই-র বিশেষ আদালতে শুনানি শেষ। ঘণ্টা ছয়েক পরে প্যালেস ছাড়েন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্রেফ তিনি একাই নন,  কলকাতার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু তৃণমূল সমর্থকও জড়ো হন নিজাম প্যালেসের। তাঁদের বিক্ষোভে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা।


আরও পডুন: নিজাম-অশান্তিতে নিষ্ক্রিয় প্রশাসন, Mamata-কে আইনের শাসন মেনে চলার বার্তা Governor-র


কোভিড পরিস্থিতিতে নারদাকাণ্ডের ভার্চুয়াল শুনানি চলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের। শুনানি চলাকালীন ধৃতদের পক্ষে জোরদার সওয়াল করেন তৃণমূলের আইনজীবী সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'পুরসভায় কোভিড পরিস্থিতি দেখছেন ফিরহাদ হাকিম। তাঁকে জামিন না দেওয়া হলে গোটা কলকাতা অসহায় হয়ে পড়বে। তাই এটা হতে পারে না।'' রাজ্যপালের অনুমোদন দেওয়ার ক্ষমতা নেই বলে আদালতে জানান কল্যাণ। তাঁর ব্যাখ্যা, অনুমোদন দেওয়ার ক্ষমতা রাজ্যের। মুকুল রায়কে কেন গ্রেফতার করা হল না? এক যাত্রায় পৃথক ফল কেন? প্রশ্ন তোলেন ধৃতদের আইনজীবী। প্রভাবশালী তত্ত্বে প্রমাণ লোপাটের যুক্তিতে জামিনের বিরোধিতা করেন সিবিআই আইনজীবীও। কিন্তু শেষপর্যন্ত সেই যুক্তি ধোপে টেঁকেনি।