নিজস্ব প্রতিবেদন : নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (Citizenship Amendment Act 2019) বিরোধিতায় রাস্তায় নেমেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সোমবার থেকে টানা ৩ দিন পদযাত্রায় সামিল হয়েছে। সাফ ঘোষণা করেছেন, এই আইন তিনি মানেন না। বাংলায় কোনওভাবেই সিএএ ও এনআরসি কার্যকর হতে দেবেন না তিনি। এই পরিস্থিতিতে এবার পাল্টা তাস খেলতে চলেছে গেরুয়া শিবির।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিজেপি সূত্রে খবর, রাজ্যে সভা করার জন্য অমিত শাহকে (Amit Shah) আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। জানুয়ারি মাসেই সম্ভবত রাজ্যে আসবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে রাজ্যে সভা করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। সভার জন্য রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে ৩টি তারিখ প্রস্তাব করা হয়েছে। এখনও নির্দিষ্ট দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়নি।


শুধু অমিত শাহ নয়। রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও (Narendra Modi) আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। তৃণমূলের সিএএ ও এনআরসি বিরোধিতায় পালের হাওয়া কাড়তেই মোদীকে আসরে নামাতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ও এনআরসি-র সমর্থনে সভা করার জন্যই আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে মোদীকে।


আরও পড়ুন, 'বাংলায় অনু্প্রবেশ ভয়ঙ্কর সমস্যা', ২০০৫ সালে সংসদের ভিডিয়ো ভুয়ো, দাবি মমতার


উল্লেখ্য, একুশে বিধানসভা ভোটে ঘাসফুল-পদ্মফুল দুই শিবিরেই সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হতে চলেছে এই সিএএ ও এনআরসি। একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন সুর চড়িয়েছেন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায়, মানুষে মানুষে বিভেদ তৈরির চক্রান্তের অভিযোগের আঙুল তুলেছেন বিজেপির দিকে, গেরুয়া শিবির তখন পাল্টা মানুষকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগ করেছে তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে। তোষণের রাজনীতির অভিযোগ করেছে। সবমিলিয়ে সিএএ ও এনআরসি ইস্যুতে যুযুধান দুপক্ষ-ই। যাকে ঘিরে নয়া মাত্রা পেয়েছে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত।