ব্যুরো:বিএড ছাড়া শিক্ষক নিয়োগ নয়। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর NCTE-র নিয়মেই সিলমোহর দিল রাজ্য। কোনপথে এগিয়েছে টানাপোড়েন?  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগে স্বচ্ছতা আনতে ১৯৯৭- তৈরি হয় স্কুল সার্ভিস কমিশন। প্রথমদিকে  একটি পরীক্ষার মাধ্যমেই পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ হত।   বদল আসে ২০১০-এ। ২০১০-এ NCTE-জানিয়ে দেয়, শিক্ষার  আধিকার আইন অনুযায়ী শিক্ষক-শিক্ষিকাদের B.ED ট্রেনিং থাকা বাধ্যতামূলক।


এরাজ্যে যথেষ্ট সংখ্যক প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত প্রার্থী নেই বলে কেন্দ্রকে জানায় রাজ্য। একইসঙ্গে, বিশেষ ছাড়ের জন্য আবেদন করা হয়। কিন্তু, রাজ্যের আবেদন সাড়া দেয়নি কেন্দ্র।


কেন্দ্র-রাজ্য চাপানউতোর


টানাপোড়েন চলে ২০১৩ পর্যন্ত।  পঞ্চায়েত ও লোকসভা ভোটের মুখে কৌশল বদলায় রাজ্য। শিক্ষার অধিকার আইন অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রযোজ্য। এই যুক্তিতে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষাকে দুভাগে ভেঙে দেওয়া হয়। পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রথম দফা।  দ্বিতীয় ধাপে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত।


২০১৫-য়  বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য শিক্ষা দফতর। বিজ্ঞপ্তিতে বিএড ডিগ্রিকে অপশনাল বলে উল্লেখ করা হয়। শুরু হয় নিয়োগের তোড়জোড়। নড়েচড়ে বসে NCTE।


রাজ্যকে কড়া চিঠি দিয়ে NCTE স্পষ্ট জানিয়ে দেয়  নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রেও বিএড বাধ্যতামূলক। পাল্টা চ্যালেঞ্জ করে NCTE-র এক্তিয়ার নিয়েই প্রশ্ন তোলে রাজ্য সরকার। পাল্টা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে NCTE-ও তাদের অধিকারের সীমা স্পষ্ট করে দেয়।  


বেগতিক বুঝে এবার সুর নরম করে রাজ্য। চ্যালেঞ্জের পথ ছেড়ে NCTE-র কাছে প্রশিক্ষণহীনদের জন্য বিশেষ ছাড়ের  আবেদন করা হয়। কিন্তু, বরফ গলেনি। কেন্দ্র-রাজ্য টানাপোড়েনে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষাই কার্যত চলে যায় বিশবাঁও জলে।


দীর্ঘ স্নায়ুযুদ্ধের পর শেষমেশ NCTE -র নিয়মেই সিলমোহর দিতে বাধ্য হল রাজ্য। মঙ্গলবার নবান্নে শিক্ষা মন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, নবম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়োগের ক্ষেত্রে বি-এড বাধ্যতামূলক। এসএসসি পরীক্ষায় বসতে গেলে,বি-এড ছাড়াও অর্নাস থাকতে হবে এবং ওই সংশ্লিষ্ট বিষয়ে  ৫০% নম্বর পেতে হবে।