ওয়েব ডেস্ক: চিকিত্সায় গাফিলতি ও অনিচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগ। গ্রেফতার সল্টলেকের উমা নলিনী মেরি ক্লিনিকের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ রূপকুমার ব্রহ্ম। ১৪দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ বিচারকের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

চিকিত্সায় গাফিলতি ও অনিচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগ। গ্রেফতার বেসরকারি হাসপাতালের চিকিত্সক। ১৪দিনের জেল হেফাজত ধৃত চিকিত্সকের। 


মৃত রণদীপ বসু। ধৃত চিকিত্সক আর কে ব্রহ্ম। গত ৩ এপ্রিল সল্টলেকের উমা নলিনী মেরি ক্লিনিকে ভর্তি হন হরিনাভির মানসিক রোগী রণদীপ বসু। ২৫ মে মারা যান তিনি। চিকিত্সায় গাফিলতি ও অনিচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার অভিযুক্ত চিকিত্সক আর কে ব্রহ্মকে গ্রেফতার করে পুলিস। ঠিক কী ঘটেছিল?  


২৯ এপ্রিল বেশ কয়েকটি টেস্ট করা হয় রণদীপের। মেডিক্যাল পরীক্ষায় কোনও গোলমাল ছিল না বলে দাবি মৃতের পরিবারের। রোগীর সঙ্গে সপ্তাহে মাত্র একদিন করে দেখা করতে দেওয়া হত বলে অভিযোগ। ফোন করলে বলা হত, রণদীপ ভাল আছেন। এরপর ২০ মে সকালে হাসপাতাল থেকে ফোন করে বলা হয়, রোগী মারা গেছেন। অভিযুক্ত চিকিত্সক আর কে ব্রহ্ম ডেথ সার্টিফিকেটে লেখেন, হার্ট  অ্যাটাকে মারা গেছেন রোগী।


কিন্তু রোগীর পরিবারের সন্দেহ হওয়ায় বিধাননগর দক্ষিণ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও মেলে চাঞ্চল্যকর তথ্য। হার্ট অ্যাটাক নয়, মাথায় গুরুতর আঘাতে মৃত্যু হয়েছে রণদীপের। ইচ্ছাকৃতভাবেই তাঁকে আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ করে মৃতের পরিবার। এরপরেই মঙ্গলবার অভিযুক্ত চিকিত্সককে গ্রেফতার করে পুলিস। অনিচ্ছাকৃত খুন এবং বিভ্রান্ত করার অভিযোগে মামলা রুজু হয় অভিযুক্ত চিকিত্সকের বিরুদ্ধে। শুধু আর কে ব্রহ্মই নয়, ঘটনায় আরও কয়েকজন জড়িত থাকতে পারেন বলে যোগ করা হয় ৩৪ নম্বর ধারাও। ধৃত চিকিত্সক আর কে ব্রহ্মকে ১৪দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।