সৌমেন ভট্টাচার্য- প্রশাসনের তরফে বারবার বলা হচ্ছে, আমাদের রোগের সঙ্গে লড়তে হবে, রোগীর সঙ্গে নয়। কিন্তু সেই কথা কানে তুলছেন না বহু মানুষ। যার ফলে বারবার করোনায় আক্রান্ত রোগীদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করছেন কিছু মানুষ। কখনও দেখা যাচ্ছে, করোনা আক্রান্ত রোগীক হেনস্থা করা হচ্ছে। কখনো আবার করোনায় আক্রান্ত রোগীর পরিবারকে পাড়ায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। অতিমারির পরিস্থিতিতে একের পর এক এমন ঘটনা সামনে আসছে। প্রশাসনের তরফে বারবার প্রচার চালিয়েও আখেরে লাভ কিছুই হচ্ছে না। সতর্কতা অবলম্বনের নামে কিছু মানুষ অভব্য আচরণ করে ফেলছেন। এবার এমনই আরেক কাণ্ড ঘটল কেষ্টপুরে। ফের করোনা আক্রান্ত রোগীকে হেনস্থার শিকার হতে হল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  বেসরকারি স্কুলের আয়-ব্যয়ের হিসাব দেখবে না সুপ্রিম কোর্ট, মামলা ফিরল হাইকোর্টেই


কেষ্টপুরের একটি ফ্ল্যাটে কোভিড পজিটিভ রোগীর ফ্ল্যাটে তালা ঝুলিয়ে দিল প্রতিবেশী। একই আবাসনের বাসিন্দা রাতের অন্ধকারে করোনা আক্রান্ত রোগীদের ফ্ল্যাটে তালা লাগিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বাগুইআটি থানার পুলিশ। আবাসিকদের বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে অবশ্য পুলিস কাউকে গ্রেফতার করেনি। জানা গিয়েছে, একই পরিবারের দুজন আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। তাঁদের মধ্যে একজন হাসপাতালে ভর্তি। আর তাই একই আবাসনের বাসিন্দারা তাঁদের সঙ্গে এমন আচরণ করলেন। 


পেশায় ল'ক্লার্ক ও নেশায় সমাজকর্মীর সঙ্গে এই ঘটনায় অনেকেই অবাক। অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে আলো নিভিয়ে পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার আবাসনের বাসিন্দা দীপ সেনগুপ্ত এসে ফ্ল্যাটের গেটে তালা মেরে যান। আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে ল'ক্লার্ক সজল কান্তি দাস দেখেন তাঁর ফ্ল্যাটের গেটে তালা লাগানো রয়েছে। এরপর তিনি আবাসনের নিরাপত্তারক্ষী ও কমিটিকে জানান। কিন্তু সময় বয়ে গেলেও তালা না খোলায় তিনি 100 ডায়াল করে পুলিসে খবর দেন। এরপর নিউটাউন থানার পুলিশ এসে সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকে ডেকে তালা খোলায়। কিন্তু তালা মারার ঘটনায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকে আটক বা গ্রেফতার করেনি পুলিস। জানা গিয়েছে, ফ্ল্যাটের ল'ক্লার্কের স্ত্রী-র গত শুক্রবার কোভিডের উপসর্গ দেখা দিলে পরীক্ষা করা হয়। পজিটিভ রিপোর্ট আসে। এরপরে স্ত্রীকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করান তিনি। বর্তমানে তিনি আই সি ইউ-তে রয়েছেন। এরপরে পরিবারের বাকিরা পরীক্ষা করলে সমাজকর্মী সজলবাবুর মা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। তিনি হোম আইসোলেশনে রয়েছে। দীপ সেনগুপ্তের দাবি, ল'ক্লার্কের পরিবারের সদস্যরা অকারণে বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাই তালা মেরেছেন তিনি। তিনি স্ত্রী ও ছোট সন্তান নিয়ে থাকেন। আতঙ্কে তালা মেরেছেন।