জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: লোকসভা ভোটে ঘোষণার অনেক আগেই ডায়মন্ড হারবারে লড়াই করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকি। সেই কথায় উত্সাহী হয়ে শুভেন্দু অধিকারী এও বলে ফেলেছিলেন যে নওশাদভাই যদি ডায়মন্ড হারবারে লড়াই করেন তাহলে ভাইপো থার্ড হবে। শেষপর্যন্ত ডায়মন্ড হারবারের দাঁড়াচ্ছেন না আইএসএফ বিধায়ক। ভয়ে থেকেই কি এমন সিদ্ধান্ত? তিনি বিশ্বের অন্যতম ভীতু রাজনীতিবিদ? জি ২৪ ঘণ্টার 'আপনার রায়' অনুষ্ঠানে এর জবাব দিলেন নওশাদ সিদ্দিকি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-দক্ষিণবঙ্গে কালবৈশাখী, আর উত্তরে শিলাবৃষ্টি! দহনজ্বালা থেকে তবে কি মুক্তি?


কী বললেন আইএসএফ বিধায়ক? নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, ভয় পাওয়ার দিন শেষ। প্রতিটি দলের একটা সিদ্ধান্ত থাকে। রাজ্য কমিটিতে যে সিদ্ধান্ত হয় সেটাই হয়ে থাকে। ভাঙড়ের মতো জায়গায় লড়াই করেছি। তাজা নেতাদের সঙ্গে লড়েছি। তাই ভয় পাওয়ার কোনও জায়গা নেই। চোখে চোখ রেখে করা বলেছি। আইএসএফ ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী দিয়েছে। আমারও ইচ্ছা ছিল ডায়মন্ড হারবারে লড়ার। দুর্নীতিবাজ একজনের সঙ্গে লড়াই করাব ইচ্ছেটা ছিলই। এনিয়ে এখন কেউ খিল্লি করলে করুক। আমার লক্ষ্য আমি পৌঁছবই। শক্ত মাটিতেই লড়াই করতে ভালোবাসি। ন্যাশনাল লেভেলে ভলিবলে ভালো করেছি। শক্ত মাটিতেই লড়তে ভালোবাসি। দলের কথা শুনতেই হয়। এখনও আমাকে টলানো যায়নি। ডায়মন্ডহারবারে দলের হয়ে লড়াই করছেন মজনু লস্কর। মজনু আগামী দিনের নেতা। লড়াই কম হবে না।


নওশাদ সিদ্দিকি কি দু'নৌকাতেই পা দিয়ে রাখলেন? আপনি কি দু'দিকেই সেটিংয়ে সিদ্ধহস্ত? নওশাদ বলেন, ডায়মন্ড হারবারে যখন দাঁডাব বলেছিলাম তখন তৃণমূলীরা প্রশ্ন করছিল বিজেপি কত টাকা দিচ্ছে? এখন যখন দল ডায়মন্ডহারবারে অনুমোদন দিল না তখন বলছে তৃণমূল কত টাকা দিচ্ছে? তৃণমূল আমাদের ৩টি ছেলেকে হত্যা করেছে। ওদের ছোট ছোট বাচ্চাগুলোকে ভুলতে পারব না। আমার ভাইয়ের খুনিদের সঙ্গে হাত মেলাব? এটা আমার দ্বারা সম্ভব নয়। আমার গ্রহণযোগত্যায় নিয়ে অবশ্যই প্রশ্ন উঠছে। তবে আগামী দিনে তা প্রমাণ করব।


বামেদের সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, যাদবপুর আমরা ছেড়ে দেব বলেছিলাম। সৃজনকে আমরা জেতানোর দায়িত্ব নেব বলেছিলাম। বামেরা আমাদের প্রার্থীর উপরে প্রার্থী দিয়েছে। একবারও কথা হয়নি মুর্শিদাবাদের সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হবেন। আমরা অনেক ত্যাগ করেছি। আমরা ১৪টা কেন্দ্রে প্রার্থী দেবে বলেছিলাম । শেষপর্যন্ত আমাদের ৭-এ নামতে হয়েছে। শ্রীরামপুর আমাদের ছেড়ে দিতে বলেছিলাম। দেওয়া হয়নি। বর্তমান পরিস্থিতির উপরে দাঁড়িয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আমরাতো পিছিয়েপড়া শ্রেণির দল। আমাদের জন্য এটা করা যেতেই পারত।


রাজ্যের সংখ্যালঘু মানুষ তে তৃণমূলের উপরেই আস্থা রেখেছেন? আইএসএফ বিধায়ক বলেন,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন রাজ্যে বিজেপি জুজু থাক। উনি চান বিজেপি সিএএ, রাম মন্দির নিয়ে হইচই করুন। তাতে মুসলিমরা ওদের দিকে থাকবে


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)