ওয়েব ডেস্ক : কেএমডি-এর নির্দেশ অগ্রাহ্য করেই পোস্তা ফ্লাইওভারের ঢালাইয়ের কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল ঠিকাদারি সংস্থা IVRCL। আদালতে এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন কেএমডিএ-র ধৃত এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার শান্তনু  মণ্ডলের আইনজীবী। দাবির স্বপক্ষে আদালতে নথিও জমা দেন তিনি।।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

৩১ মার্চ, ২০১৬ পোস্তা ফ্লাইওভার বিপর্যয় ঘটে। কর্মব্যস্ত সময়ে মাথার ওপর ভেঙে পড়ে আকাশ। পোস্তার নির্মীয়মান ফ্লাইওভার ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয় ২৬জনের। মঙ্গলবার বিকেলে পোস্তা ফ্লাইভার বিপর্যয়ে ঠিকাদারি সংস্থা IVRCL-এর দশ কর্মী ও আধিকারিকের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় কলকাতা পুলিস।  তারপরই গ্রেফতার করা হয়  কেএমডিএ-র দুই ইঞ্জিনিয়ার প্রিয়তোষ ভট্টাচার্য ও শান্তনু মণ্ডলকে। বুধবার দুজনকেই ব্যঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয়। এবিষয় সংক্রান্ত KMDA-এর যাবতীয় নথি  আদালতে জমা দেন এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার শান্তনু মণ্ডলের আইনজীবী।


তাঁর দাবি,  দুর্ঘটনার দিন  কেএমডিএর টেকনিক্যাল অ্যাসিন্ট্যান্ট বিকাশ হালদার ঢালাইয়ের কাজ পর্যবেক্ষণ করেন। কাজ শেষের পর উন্নয়ন ভবনকে রিপোর্টও জমা দেন। তারপর  ওখানে কোনও ঢালাই চলার কথা নয়। যদিও, কেএমডি-এর নির্দেশ অগ্রাহ্য করে ঢালাই চালিয়ে যাচ্ছিল ঠিকাদারি সংস্থা।


দুর্ঘটনার সময়  কেএমডিএর এরিয়া ডেভলপমেন্ট সেক্টরের চিফ ইঞ্জিনিয়ারের দায়িত্বে ছিলেন  প্রিয়তোষ ভট্টাচার্য। দুর্ঘটনার পরের মাসেই তিনি অবসর নেন। প্রিয়তোষ ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে পৃথক বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে পুরসভা। তাঁর বিরুদ্ধে মেডিক্যাল বিল নিয়ে আর্থিক তছরূপের প্রমাণ মিলেছে। তাঁর আইনজীবী মক্কেলের জামিনের আবেদন করেন।  


তবে দুজনকেই আগামী মাসের সাত তারিখ পর্যন্ত পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।  পুলিস সূত্রে খবর, এই দুজন ছাড়াও পোস্তা ফ্লাইওভার বিপর্যয়ে  কেএমডিএর আরও কয়েকজন আধিকারিকদের নাম জড়াতে পারে।